পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

না--- কারও এতদিন ধরে লিখে আসচি যে, আমি যে লেখক এ কথাটা ভোলবার সময় হয়েচে। প্রবাসীতে যাতে লেখাটি বেরয় সেজন্য আমি এবার বিশেষভাবে তাগিদ করব। সম্পাদকের উপর মোড়লি করতে আমি কখনো সাহস করিনে— বিশেষত যে লেখা আমার নিজের সম্বন্ধে তা নিয়ে। কিন্তু এবার আমি বিনা সঙ্কোচে একটু জোরের সঙ্গেই হাক ডাক করে দেখব। . . . | আগের ৫ইমাঘ ১৩২২এর পত্ৰখানি এবং ৬ই ফাল্গুনের এই পূর্ণ পত্ৰখানি মৈত্রেয়ী দেবীর স্বর্গের কাছাকাছি বইয়ে মুদ্রিত হয়েছে । । ফাল্গুনী’র আলোচনায় সুরেন্দ্রনাথ রবীন্দ্রনাথের নাটকখানিকে পুরাতন ছিলিক নাটক’ নামে একরকম গীতাভিনয়ের সগোত্র বলে নির্ণয় করেছেন যেখানে অভিনেতা আপন মনের কোনো গৃঢ় অভিপ্রায়’ নাচে গানে অভিনয়ে প্রকাশ করত, যে নাটকে ‘পাত্রপাত্রীর চরিত্রসমাবেশের বাহুল্য স্থান পেত না। এই নাটকের গুঢ় মর্ম কী ? সুরেন্দ্রনাথ লিখেছেন : সমস্ত ফাল্গুনীটার হাওয়া থেকে এই সুরটা বেজেছে যে, জগতের ভিতরকার কথাটি যদি কেউ জানতে চায় তো সে কেবলমাত্র খেলার সঙ্গে যোগ দিয়েই জানতে পারে, নান্যঃ পন্থা বিদ্যতে অয়নায়। কোনও তত্ত্বচিত্তার কূটজালে প্রবিষ্ট হওয়ার প্রয়োজন নেই, কোনও দার্শনিক কল্পনার মাপকাঠি ব্যবহার করতে চেষ্টা কোরো না, শুধু জগতের মধ্যে নানাপরিবর্তনের ভিতর যে একটি আনন্দলীলা চলেছে, বাউলের মতন সর্বাঙ্গ দিয়ে সমস্ত হৃদয় দিয়ে তাকে স্পর্শ কর; পুঁথির চোখটাকে, তর্কের চোখটাকে একেবারে কাণা করে দাও; সমস্ত প্রাণ দিয়ে বিশ্বকে আলিঙ্গন কর, তাহলেই দেখতে পাবে যে ১ স্বর্গের কাছাকাছি ১৩৮৮ পৃ ২৬ ও পৃ ২৮-২৯ । প্রসঙ্গত সুরেন্দ্রনাথের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের ঘনিষ্ঠতার সূত্রপাত ১৩১৫ সাল থেকে । সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত নিবেদন’ (১৩১৮) কাব্যগ্রন্থ রবীন্দ্রনাথকে উৎসর্গ করেন। উৎসর্গ লিপি : "হে রবি হে কবিবর ! লহ নমস্কার।’ 8Ꮌbr