পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাল আমার দেশ বইয়ে ১৩৭৫ পৃ ৬০-৬১। তিনি লিখেছেন : সত্যেন্দ্রনাথের মৃত্যুর পর রামমোহন লাইব্রেরি হলে তার স্মৃতির জন্য আমরা একটি সভার অনুষ্ঠান করি। কথা ছিল, সভা শেষ হবার পর একটা রীতিমতো কমিটি গঠিত হবে তার স্মৃতিরক্ষার জন্য। অন্যান্য সভায় যেমন হয়ে থাকে তেমনভাবে কোনো সভাপতির নাম প্রস্তাব আমরা করি নি। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ এই মৃত্যুবাসরে এসে আসন গ্রহণ করলেন। তারপর সত্যেন্দ্রনাথ সম্বন্ধে লিখিত কবিতাটি সভাপতি পাঠ করলেন। আমরা রবীন্দ্রনাথের কবিতা শুনে এমন অভিভূত হয়েছিলাম যে সেদিন সত্যেন দত্তের সেই স্মরণসভায় আর কোনও রেসোলিউশন নেওয়া বা কমিটি গঠন হল না। সমস্ত শ্রোতৃমণ্ডলী কবিগুরুর কবিতা শুনে চোখের জল ফেলতে ফেলতে বাড়ি চলে গেল। এই রকম শোকপূর্ণ সভা আমি আর কখনও দেখি নি। রবীন্দ্রনাথ চারুচন্দ্রের কাছে কবিতার প্রক দেখতে চেয়েছিলেন । প্রবাসীতে পাঠানো প্রেসকপির সঙ্গে প্রবাসীতে পাঠের কোনো কোনো স্থানে পার্থক্য হয়েছে, তাতে বোঝা যায় প্রফে তিনি কবিতাটির সংস্কার করেছিলেন। প্রথম ছত্রেই এই তারতম্য চোখে পড়ে ; পাণ্ডুলিপির পাঠ আষাঢ়ের পুঞ্জমেঘ এল ধরণীর পূর্বদ্বারে ১ প্রসঙ্গত সেন্ট্রাল কলেজ প্রাঙ্গণে দজিপাড়া নিউ জুভেনাইল লাইব্রেরির শোকসভা অপুষ্ঠিত হয় ৭ই জুলাই শুক্রবার। কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচী সে সভায় সভাপতিত্ব করেন, লগুণদের মধো ছিলেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, চারুচন্দ্র বন্দোপাধ্যায়, মণিলাল গঙ্গোপাধ্যায়, সৌরীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। পরলোকগত সুকবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত মহাশয়ের জন্য শোকপ্রকাশাথ বঙ্গায় সহিত পরিষদের একটি বিশেষ অধিবেশন হয় ১১ জুলাই ২৭শে আষাঢ় তারিখে, প্রমথ চৌধুরী সে সম্ভায় সভাপতিত্ব করেন। চারুচন্দ্র বন্দোপাধ্যায়, কালীচরণ মিত্র লিখিত ভাষণ পাঠ করেন। সত্যেন্দ্রনাথের স্মৃতির প্রতি সম্মান দেখাতে পরিষদ ১৪ই জুলাই বঙ্গ থাকবে ঘোষণা করা হয়। " 《 > br