পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেই প্রবন্ধে তাহার সকল কবিতার প্রায় শীর্ষে স্থান পাওয়া সোনার তরী’র । ব্যাখ্যা সূত্রে লেখেন : \, কবিতাটির গদার্থ এই ; একজন কৃষক শ্রাবণ মাসে রাশি রাশি ধান কটিয়া নির্ভরসা হইয়া কূলে বসিয়া আছে। পরে সে দেখিল যে এক যেন চিনি মাঝি পাল তুলিয়া দিয়া নৌকা করিয়া যাইতেছে। সে তাহাকে ডাকিয়া ধানগুলি দিল। পরে নিজেও যাইতে চাহিল। মাঝি তাহাকে লইয়া যাইতে অস্বীকৃত হইয়া চলিয়া গেল। কৃষক শূন্য নদীর তীরে পড়িয়া রহিল।. পাঠক কবিতাটির গদার্থ দেখিলেন,... এখন দেখুন ইহার বর্ণনা কিরূপ স্বভাবসঙ্গত। কৃষক ধান কাটিতেছেন বর্ষা কালে, শ্রাবণ মাসে। বর্ষাকালে ধান কেহই কাটে না; বর্ষাকালে ধান্য রোপণ করে। ধান তিন প্রকার : (১) হৈমস্তিক তাহাই কৃষকের আসল ধান্য— কাটে হেমন্তকালে, অগ্রহায়ণ মাসে; (২) আশু (নিজে খাইবার জন্যই প্রায় করে) কাটে শরৎকালে, ভাদ্র মাসে; (৩) বোরো (উড়িষ্য অঞ্চলেই অধিক হয়) প্রকৃতির পাশ কটিয়া গিয়াছেন। নহিলে অন্ধকারে ঢিল মারিলেও হয় ত তিনটার মধ্যে একটায় লাগিত। রবিবাবুর এক ভক্ত এক ব্যাখ্যা দিয়াছিলেন, তাহা এতই মনোরম যে আমি তাহা উদ্ধৃত করিবার প্রলোভন সম্বরণ করিতে পারিলাম না । তিনি বলিলেন-- “যদি এ আশুধান্য হয় ও এটা বত্রিশে শ্রাবণ হয়। পরের দিনই ত ভাদ্র।” তিনি ত ইহাও বলিতে পারিতেন, যে, কৃষক ত দেখা যাইতেছে পাগল, যদি ধান না পাকিতেই কাটিয়া থাকে। বলদ যদি দাড়াইয়া দাড়াইয়া ঘাড় নাড়ে। রবীন্দ্রবাবু যদি জানিতেন যে তাহাকে রক্ষা করিবার জন্য র্তাহার দুই এক ভক্ত কি বিপদগ্ৰস্ত হন । যাক – তাহার পরে শ্রাবণ মাসে “এল বরষা” কিরূপ? বঙ্গদেশে আষাঢ় মাসেই বর্ষা আসে। তাহার পরে “একখানি ছোট ক্ষেত” হইতে “রাশি রাশি ভারা ভার” পান হইয়াছে! ক্ষেত বড়ই উর্বর ক্ষেতের "চারিদিকে বাকা জল করিছে খেলা ৷” ক্ষেতখানি তবে একটি দ্বীপ। তবে (?○* డి 6 రి|4