পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যেখানে আমার সংশয় উপস্থিত হইয়াছে, তাহা তাহার গোচর করিয়াছি, এবং তিনি আমার প্রতি র্তাহার অহেতুক স্নেহাতিশয়তার অনুরোধে সংশয় মীমাংসা করিয়া দিয়াছেন । এইরূপে তাহার অনেক কবিতা ও কাব্যের অন্তর্নিহিত তত্ত্ব ও ভাব আমি উপলব্ধি করিতে পারিয়াছি; এবং আমার ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণের মধ্যে অনেক স্থানে কবির ভাষাই পরিগৃহীত হইয়াছে। রচনার সাহায্য লইয়াছি, একটি কবিতাকে অন্য কবিতার বা প্রবন্ধের সাহায্যে বুঝিবার চেষ্টা করিয়াছি। এইরূপে আমি অনেক স্থানেই গঙ্গাজলেই গঙ্গাপূজা সম্পন্ন করিয়াছি। Č 鬼 চারুচন্দ্র নিজেকে মাল্যগ্রন্থনকারী এবং মুটেমজুর’ আখ্যা দিয়ে বিনয় প্রকাশ করে লিখেছিলেন, “আমার এই নিমিতি যে বিষয়বস্তুকে অবলম্বন সাহিত্যসমাজে সমাদৃত হইবে আশা করি। তবু, হয়তো প্রবাসীতে ছাপার জন্য কবির মন্তব্য প্রার্থনা/প্রত্যাশা করেছিলেন যে মতামতে আনুকূল্য তত ছিল না। রবীন্দ্রনাথের মতামত পেয়ে চারুচন্দ্র পত্রপাঠ এই চিঠি লেখেন, তখন তিনি ঢাকা থেকে অবসর গ্রহণ করে কলকাতার বাড়িতে আছেন। পত্রপ্রাপ্তি মাত্রে রবীন্দ্রনাথ রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়কে ‘রবিরশ্মি’ সম্বন্ধে তার অভিমত সংবলিত চিঠি প্রবাসীতে ছাপতে বারণ করে লেখেন, ১৬ মে ১৯৩৮ এর চিঠি : রবিরশ্মি বইটা সম্বন্ধে চারুকে যে চিঠি লিখেছিলুম সেটাতে তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন মনে মরেছেন তাকে নিন্দাই করেছি। ওটা ছাপাবেন না ... রামানন্দ এ চিঠির উত্তরে লেখেন, (?8 。