পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগে পরিষ্কার খবর পাঠিয়ে দিয়ে । কারণ যথাসময়ে কুষ্টিয়ায় পান্ধি রাখতে হবে— নইলে মুস্কিল হবে। তোমরা কে কে আসচ, কখন আসূচ একেবারে নিশ্চয় নির্দিষ্ট করে লিখো । জ্যৈষ্ঠের প্রবাসী সম্বন্ধে আমার অভিমত। “জীবন বৈচিত্র্য” লেখাটি ভাল হওয়া উচিত ছিল কিন্তু হয় নি— অনেকস্থলেই নিরর্থক ও অদ্ভুত হয়েছে। প্রথমেই ঐটে পড়ে ভাবছিলুম এটা কেন দিয়েছ। “বুদ্ধদেব” কবিতায় চিন্তা ও ভাব দুইই অগভীর । “নববর্ষ” প্রবাসীতে দেবার কোনো দরকার ছিল না । *প্রকৃতিসুন্দরী” কবিতাটি কাকে লক্ষ্য করে বলা হচ্চে ? যদি প্রকৃতিকে হয় তবে শেষ দুই ছত্রের অর্থ কি ? “গোপন হৃদয়পটে” কল্পনা তাকে অঁাকৃতে যায় কেন ? বোধ হচ্চে, লেখাটির ভিতরকার মানে হচ্চে প্রেমের আবেগে সমস্ত প্রকৃতি আজ মাধুর্য্যের নিবিড়তা লাভ করেছে। কিন্তু সেটা কিছুই স্পষ্ট হয় নি। “ফুল আজি তব গন্ধে হয়েছে সুরভি”—এ কি প্রকৃতির গন্ধে ? “তব লজ্জা তাকিয়াছে’ ইত্যাদি, এ কি প্রকৃতির লজ্জা ? কেন লজ্জা ? আবার “নদী অাজি গাহে” এ কি প্রকৃতির গান ? প্রকৃতির গন্ধে প্রকৃতির ফুল সুরভি হবে, প্রকৃতির লজ্জায় প্রকৃতির রবি রাঙা হবে, প্রকৃতির গানে প্রকৃতির নদী গান করবে এ কথা বিশেষ করে বলবার দরকার কি ? তার পরে “লভিয়াছে নবপ্রাণ সকল জগৎ" —কেন ? “মোর দগ্ধ তপ্ত হিয়া তোমার চরণপ্রান্তে পড়িছে লুটিয়া বিফল বেদনাভরে।" এ কি প্রকৃতির পায়ে ? সমস্ত কবিতাটা পড়ে দেখো— প্রকৃতিসুন্দরীর সঙ্গে খাপ খায় না। যদি \2 Ο