পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অন্য কোনো সুন্দরীর কথা হয় তবে মেয়ে লিখচে কেন ? এ যে গীতিকাব্য—এ ত ড্রামাটিক নয়। সব সময়ে কবি কোনো উপস্থিত সত্যকে অবলম্বন করে লেখে না— কিন্তু পুরুষের কল্পনা পুরুষের যোগ্য এবং মেয়ের কল্পনা মেয়ের যোগ্য হওয়া চাইনে কি ?– হেমেন্দ্র সিংহের লেখা নিতান্ত চকমকি ঠোকা— যতটা স্ফুলিঙ্গ বৃষ্টি হয় তার চেয়ে ঠকঠক ঢের বেশি– বাক্যগুলো এরকম ক্রমাগত ঘাড়ের উপর এসে পড়তে গেলে ভারি শ্রান্তিকর হয়ে ওঠে । “যযাতির স্বর্গপ্রাপ্তি" এমন একটি জিনিষ যাকে প্রশংসাও করা যায় না, নিন্দাও করা যায় না । লাভ কবিতাটি সনেট-এ সনেট জিনিষটি তীরের মত— তার শেষ প্রান্তে একটি ঝকঝকে ও তীক্ষ ফলা থাকা উচিত সেইটে বুকে এসে বিধবে ) এ কবিতার ভাবটি পুরাতন ও তার প্রকাশটিও বিশেষত্বহীন । ইনি আমার নামে একটি কবিতা রচনা করে আমাকে পাঠিয়েছিলেন সেটি প্রশংসার যোগ্য — তার প্রধান কারণ সেটি আমার নামে, দ্বিতীয় কারণ, মন্দ হয় নি। “মহাকর্ষণ" লেখাটা স্কুলপাঠ্য। “চন্দ্রসূৰ্য্য” কবিতাকণাটি, কণামাত্র কিন্তু কবিতা নয় — এ সব জিনিষ হীরের মত কঠিন ও উজ্জল হলে তবেই এদের কণিকতা আদরণীয় —বালুর কণা দিয়ে কেউ হার গাথে না । “তুই বন্ধু” কবিতা সম্বন্ধেও এই কথা । তোমার সমালোচনা সম্বন্ধে আমার বক্তব্য এই যে তারকনাথ রায়কে তুমি লাঠির বাড়ি মেরেছ, খড়গাঘাত করনি— তাতে করে মাতুষকে কেবল আধমরা করা হয় সেটা ভাল নয়— একেবারে এক কোপে সেরে দিলেই তুই পক্ষে 8 o