পাতা:চিঠিপত্র (তৃতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪ চিঠিপত্র
কবে তিনি আমার বাসন পূর্ণ করবেন জানিনে — কিন্তু জোড় হাত করে কোনো প্রশান্ত পবিত্র নির্জন স্থানে তাঁর দিকে তাকিয়ে পড়ে থাকতে ইচ্ছা করে — কেবল বলি - মা মা হিংসীঃ —আমাকে আর আঘাত কোরো না - আর মেরো না, আর মেরো না — ভাল মন্দর দ্বন্দ্বের মাঝখানে রেখে আমাকে কেবলি চারদিক থেকে এমন ধাক্কা খেতে দিয়ো না । জীবন যখন দ্বিধাবর্জিত বাসনামুক্ত পবিত্র হয়ে উঠবে - তখন লোকালয়েই থাকি আর নির্জনেই থাকি সর্বত্রই সেই পবিত্রতার সাগরের মধ্যে সেই প্রেমের অতলস্পর্শ সমুদ্রের মধ্যেই নিমগ্ন হয়ে থাকতে পারব। দুঃস্বপ্নজালজড়িত এই অন্ধকার রাত্রির অবসানে সেই জ্যোতির্ময় প্রভাতের জন্যে মন অহরহ অপেক্ষা করচে - সকল সুখদুঃখ, সকল গোলমাল, সকল আত্মবিস্মৃতিব মধ্যেও তার সেই একটি মাত্র সত্য আকাঙ্ক্ষা । কিন্তু চিরদিনই জীবনকে এত মায়ায় এত মিথ্যায় জড়াতে দিয়েছি যে, তার জাল কাটাতে আজ প্রাণ বেরিয়ে যাচ্চে । ত হোক, তবু কাটাতেই হবে — সংসারের, বিষয়ের, বাসনার সমস্ত গ্রন্থি একটি একটি করে খুলে তবে যেন আমার এই জীবনের ব্রত সাঙ্গ হয় — স্নান করে ধৌত হয়ে নির্মল বসন পরে শুচি ও সুন্দর হয়ে