পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আপত্তি নেই – কেবল সম্প্রতি একেবারেই স্থানাভাব । গ্রীষ্মাবকাশে নুতন ঘর তৈরি হলে তার পরে আষাঢ় মাসে নূতন ছেলে নেওয়া সম্ভব হবে— তৎপূৰ্ব্বে চলবে না । ছেলেদের মধ্যে যাতে কোনো রকম ইন্দ্রিয়শৈথিল্য না ঘটে সেজন্যে যতদূর সম্ভব দৃষ্টি রাখা হয়— কিন্তু ১৩০ জন ছেলের মধ্যে বাংলাদেশে এই উপসর্গ সম্পূর্ণ ঠেকানো গেছে একথা আমার নিজেরই প্রত্যয় হয় না। আমি দেখতে পাই আমাদের দেশ এ সম্বন্ধে একেবারে কলুষপঙ্কে আকণ্ঠ নিমগ্ন । ঘরে ঘরে এই ব্যাধি । যে সব ছেলে এখানে আসে তারা এই উপসর্গ সঙ্গে করে নিশ্চয়ই আনে— তারপরে আমরা উপদেশ দিয়ে পাহারা দিয়ে যতটা সম্ভব এটাকে দমন করে রাখি— কিন্তু কৃতকাৰ্য্য কি পরিমাণে হই তা নিশ্চয়রূপে জানাও আমাদের পক্ষে সম্ভবপর নয়— তবে শিক্ষকদের দ্বারা কোনো বিকার ঘটে না এ কথা বোধহয় জোর করে বলতে পারি। আপনি ভাল আছেন ত ? আমার শরীরটা ভালো নেই । ইতি মঙ্গলবার [ ২৬ ? মাঘ ১৩১৬ ] ভবদীয় শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর