পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমাকে এত নিকটে থেকে এত অধিক করে জানবার অবকাশ পায় নি। তার পরে আবার শুনেচে আমি নোবেল প্রাইজ পেয়েচি, মনে ভাবে সত্যিই বুঝি বা মানুষটা কেষ্ট বিষ্টুর মধ্যে একটা কিছু হবে । সেইজন্তে মন পরিষ্কার করে কথাগুলো শোনে, কাজেই বুঝতে তাদের বিশেষ বাধে না । এবার আপনি যখন আশ্রমে ছিলেন, আমার সঙ্গে স্থির হয়ে বসে কথা ক’বার সুযোগ পান নি । আপনি যদি কোনো সঙ্কোচ না করে ঘরের মধ্যে ঢুকে দাবী করতেন তাহলে অনায়াসে আলাপ হতে পারত। সাধারণত আমার সময় অল্প বটে, কিন্তু মোটের উপর আমাদের সময় জিনিষটা স্থিতিস্থাপক । টান দিতে পারলে খানিকট বেড়ে যায়— যদি ভরসা করে টান দিতেন তাহলে সময়ের নিতান্ত অভাব হ’ত না । আসলে, আমি কাজে যে খুব বেশি ব্যস্ত তা নয় কিন্তু আমার মন আজকাল নিয়তই ক্লাস্ত থাকে, এইজন্যে যতটা পারি জগৎংসারটাকে এড়িয়ে এড়িয়ে চলি— কিন্তু জগৎসংসারের স্বভাব এই যে, সে চেপে এসে পড়ে । আপনি আমাকে যখন ছুটি দিতে চেয়েছিলেন তখন আর সবাই যে ছুটি দিয়েছিল তা নয়— সুতরাং আপনিই বঞ্চিত হয়েচেন আমি বিশেষ নিষ্কৃতি পাইনি । সম্প্রতি রাজবাড়িতে আছি, রাজদরবারে চা খেতে যেতে হবে । রথ এসে দ্বারে প্রস্তুত । অতএব নমস্কার । [ অগ্রহায়ণ SOHO } আপনাদের ঐরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর > * >