পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

না। ইহার শৈশবে মনোরঞ্জনবাবু, জগদানন্দ ও তুমি ইহাকে লালন করিয়াছ, এখন কৈশোরে তোমাদের মধ্যে এক জগদানন্দ অবশিষ্ট আছেন — ইহার বলশালী তেজোময় যৌবন আসন্নপ্রায়, যদি ধৈর্যের সহিত এখন তুমি ইহার সহিত যুক্ত থাকিতে পারিতে তবে গৌরব লাভ করিতে সন্দেহ নাই । এই বিদ্যালয় বাংলাদেশ গঠনের ইতিহাসের একটি অঙ্গ হইবে ইহা মনে করিয়ো— র্যাহারা ইহাতে জীবন-সমর্পণ করিবেন র্তাহাদের জীবন সার্থক হইবে । কিন্তু বিধাতার রণক্ষেত্রে অনেক লোকেই আহত হয়, সকলেই টি-কিয়া থাকে না । রাণীর রক্ত ওঠা থামিয়া গেছে – কিন্তু তাহার শরীর ভাল নাই । পেটের অমুখ চলিতেছে – দুর্বল হইয়া পড়িয়াছে। তাহার সম্বন্ধে আমার মনে কোন আশা নাই – জন্মমৃত্যুর উপরে র্যাহার মঙ্গলচ্ছায়া সমানভাবেই পড়ে সেই বিধাতার হস্তে আমি রেণুকাকে সমর্পণ করিয়াছি। অনেকদিন পরে সম্প্রতি এখানে বর্ষা আরম্ভ হইয়াছে । এখানে বাদলার উপদ্রব অন্তান্ত পাহাড়ের মত অত্যধিক নহে । সত্যেন্দ্র পশু এখানে আসিয়াছে। হেমবাবু হেমচন্দ্র মল্লিক ] অামার প্রতিবেশী— তাহার নিকট হইতে অনেক সহায়তা পাইয়া থাকি । ইতি ৯ই শ্রাবণ, ১৩১০ [ শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ] HOA