পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বক্তৃতাদিতে অনেক সময়েই চিত্তবিক্ষেপ ঘটায়। অধ্যাত্মসাধনায় ভাবান্দোলনের মূল্য যে অধিক তাহা আমি মনে করি না। ভাবাবেশের অভ্যাস মাদকসেবনের স্যায় চিত্তদৌৰ্ব্বলাজনক । গভীর তত্ত্বগৰ্ভ সংক্ষিপ্ত প্রাচীন মন্ত্রের স্যায় ধ্যানের সহায় কিছুই নাই। সাধনার পথে যত অগ্রসর হওয়া যায় এইসকল মন্ত্রের অস্তরের মধ্যে ততই গভীরতর রূপে প্রবেশ করা যায়— ইহারা কোথাও যেন বাধা দেয় না। এইজন্য আমি ছাত্রদিগকে উপনিষদের মন্ত্রে দীক্ষিত করিয়া থাকি । মন্ত্র যাহাতে মুখস্থ কথার মত না হইয়া যায় সেজন্য তাহাদিগকে মাঝে মাঝে ব্যাখ্যা করিয়া স্মরণ করাইয়া দিয়া থাকি। কিছুকাল আমার অনুপস্থিতিবশত: নূতন ছাত্রদিগকে মন্ত্র বুঝাইয়া দিবার অবকাশ পাই নাই। আপনার সঙ্গে যে ছাত্রদিগকে লইয়া যাইবেন তাহাদিগকে যদি আহ্নিকের জন্ত উপনিষদের কোন মন্ত্র বুঝাইয়া বলিয়া দেন তো ভালই। হয় । এক্ষণে, আপনার কার্য্যপ্রণালীর কথা বিবৃত করিয়া বলা যাক । মনোরঞ্জনবাবু, জগদানন্দবাবু ও সুবোধবাবুকে লইয়া একটি সমিতি স্থাপিত হইবে । মনোরঞ্জনবাবু তাহার সভাপতি হইবেন । আপনি উক্ত সমিতির নির্দেশমতে বিদ্যালয়ের কাৰ্য্যসম্পাদন করিতে থাকিবেন । বিদ্যালয়ের ছাত্রদের শয্যা হইতে গাত্ৰোখান স্নান আহ্নিক আহার পড়া খেলা ও শয়ন সম্বন্ধে কাল নিৰ্দ্ধারণ র্তাহার। So e