পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পারিতাম না। কিন্তু আমি অনেক চিন্তা করিয়া সুস্পষ্ট বুঝিয়াছি যে, বাল্যকালে ব্রহ্মচৰ্য্য ব্রত, অর্থাৎ আত্মসংযম, শারীরিক ও মানসিক নিৰ্ম্মলতা, একাগ্রতা, গুরুভক্তি এবং বিদ্যাকে মনুষ্যত্বলাভের উপায় বলিয়া জানিয়া শাস্ত সমাহিত ভাবে শ্রদ্ধার সহিত গুরুর নিকট হইতে সাধনা সহকারে তাহ। দুর্লভ ধনের হ্যায় গ্রহণ করা— ইহাই ভারতবর্ষের পথ এবং ভারতবর্ষের একমাত্র রক্ষার উপায় । কিন্তু এই মত ও এই আগ্রহ আমি যদি অন্ত্যের মনে সঞ্চার করিয়া না দিতে পারি তবে সে আমার অক্ষমতা ও দুর্ভাগ্য— অন্ত্যকে সেজন্ত আমি দোষ দিতে পারি না । নিজের ভাব জোর করিয়া কাহারো উপর চাপানো যায় না — এবং এসকল ব্যাপারে কপটতা ও ভান সৰ্ব্বাপেক্ষা হেয় । আমার মনের মধ্যে একটি ভাবের সম্পূর্ণতা জাগিতেছে বলিয়া অনুষ্ঠিত ব্যাপারের সমস্ত ক্রটি দৈন্ত অপূর্ণতা অতিক্রম করিয়াও আমি সমগ্রভাবে আমার আদর্শকে প্রত্যক্ষ দেখিতে পাই— বৰ্ত্তমানের মধ্যে ভবিষ্যংকে, বীজের মধ্যে বৃক্ষকে উপলব্ধি করিতে পারি— সেইজন্য সমস্ত খণ্ডত দীনতা সত্ত্বেও, ভাবের তুলনায় কৰ্ম্মের যথেষ্ট অসঙ্গতি থাকিলেও আমার উৎসাহ ও আশ ম্রিয়মাণ হইয়া পড়ে না । যিনি আমার কাজকে খণ্ড খণ্ড ভাবে প্রতিদিনের মধ্যে বৰ্ত্তমানের মধ্যে দেখিবেন, নানা বাধাবিরোধ ও অভাবের মধ্যে দেখিবেন, র্তাহার উৎসাহ অাশা সর্বদা সজাগ না থাকিতে পারে । সেইজন্য আমি কাহারও কাছে বেশি কিছু দাবি করি না, সৰ্ব্বদা অামার, › ግ¢»