পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদ্যোৎসাহিতা ও বিদ্যামুরাগিতার কথা এবং কবিন্ধের ভূয়সী। প্রশংসা তন্ময় হইয়া শুনিতাম । একদিন জোড়াসাকোর বাটীতেই দাদার মুখেই কথায় কথায় শাস্তিনিকেতনের ব্ৰহ্মচৰ্য্যাশ্রমের কথা শুনিলাম । ছাত্রজীবনে আমার একান্ত ইচ্ছা ছিল যে, আমি যেখানেই যে কার্য্যেই থাকি না কেন, বিদ্যালোচনা— বিশেষত সংস্কৃতের চর্চা— আমি কখনও ত্যাগ করিব না। এইজন্যই অামি সৰ্ব্বদাই শিক্ষাবিভাগের কার্য্যেরই পক্ষপাতী ছিলাম । দাদা বলিলেন, ব্রহ্মচৰ্য্যাশ্রমের অধ্যাপকেরা পরম মুখে অধ্যাপনা করেন— প্রভুর সমদৰ্শিতায় তাহাদের সেবাবৃত্তি শ্ববৃত্তি বলিয়াই বোধ হয় না, অধ্যাপনাদি সকল কার্য্যেই তাহারা সম্পূর্ণ স্বাধীন। আহারের বিষয়ে পরাধীনতা থাকিলেও, তাহ মুখকর ও স্পৃহণীয়, কারণ শ্ৰীমান রথীন্দ্রনাথের মনস্বিনী জননী প্রত্যহই নিয়মিতভাবে সুখভোগ্য অল্পব্যঞ্জনাদির ব্যবস্থা করিয়া দেন । শিক্ষকতায় পরাধীনতার তীব্র আস্বাদের সহিত আমি পূর্ব হইতেই সুপরিচিত ছিলাম, সুতরাং ঐরূপ ম্প্রহণীয় বিষয়ের বিবরণ শুনিবামাত্রই, আমার মনে ব্রহ্মচৰ্য্যাশ্রমে অধ্যাপনার স্পৃহা অত্যন্ত বলবতী হইয়া উঠিল বটে, কিন্তু আমার বিদ্যা-বুদ্ধির পরিমাণ নিতান্ত স্বল্প, আমি হিংসমধ্যে বকে যথা’, সুতরাং, আমার সে আশা উদ্বুবাহু বামনের প্রাংশুলভ্য ফলপ্রাপ্তির আশার স্যায় নিতান্ত উপহাসাম্পদ, ইত্যাদি নানা প্রকারে, নিজ বিদ্যার অযোগ্যতা সপ্রমাণ করিয়া আমি মনকে অতিকষ্টে নিবৃত্ত করিলাম— তখন জানিতে পারি নাই যে, আমার ভাগ্যবিধাতা আমার অলক্ষ্যে ‘তথাস্তু* & е Э