পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলিয়া স্বপ্নদৃষ্টের স্তায় আমার সেই অলীক আশা সফল করিতে উদ্যত হইয়াছেন। ইহার কিছুদিন পরে, আমার দাদা একদিন কবিবরের নিকটে তাহার পূর্ব প্রদত্ত বৃত্তির উল্লেখপূর্বক আমার পরিচয় দিয়া, মফস্বলে আমার জন্য একটি কার্য্যের প্রার্থনা জানাইলে, কবিবর তৎক্ষণাৎ তাহা স্বীকার করেন এবং তদানীন্তন সদর নাএব শ্ৰীযুক্ত অমৃতলাল বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডাকাইয়া, আমাকে মফস্বলে কোন একটি কার্য্যে নিযুক্ত করার অনুমতি দেন । ইহার কিছুদিন পরেই আমি কাৰ্য্য পাইলাম— আমি কালীগ্রাম পরগণার সদর কাছারি পতিসরে সুপারিনটেণ্ডেণ্ট হইলাম । তখন শ্ৰীযুক্ত শৈলেশচন্দ্র মজুমদার কালীগ্রামের ম্যানেজার ছিলেন । ১৩০৯ সালে শ্রাবণের প্রথমে আমি সুপারিনটেণ্ডেণ্টরূপে সদর কাছারি পতিসরে উপস্থিত হইলাম । তখন ভয়ানক বর্ষা । পতিসরের চারিদিকে দিগন্তব্যাপী প্রাস্তর বর্ষার প্লাবনে একাকার হইয়া গিয়াছে – কোথায়ও কিছুই দেখা যায় না, কেবল বহুদূরব্যাপী নিমগ্নপ্রায় হরিং ধান্তাশীর্ষ-সমূহ, আর সেই সবুজ সাগরের মধ্যে দূরে দূরে দূর হইতে পুঞ্জীভূতরূপে প্রতীয়মান তৃণাচ্ছাদিত গ্রাম্য গৃহসমূহের পঞ্জরনিকর । এইরূপ ভীষণ বর্ষায় ম্যানেজারবাবু আমাকে মফস্বলে যাইতে দিলেন না— আমি কাছারিতে থাকিয়াই কিছু কিছু কাৰ্য্য করিতে ও শিখিতে লাগিলাম । এইরূপে প্রায় একমাস কাটিয়া গেল । কবিবর সেই সময় জমিদারীর কার্য্য পর্য্যবেক্ষণ করিতেন । একদিন কৰ্ম্মচারীদের নিকটে শুনিলাম শ্ৰীযুত বাবুমশায় (অর্থাৎ है ● ●