পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেরেস্তায় কাৰ্য্য কর, রাত্রিতে কি কর ? অামি বলিলাম, সন্ধ্যার পরে কিছুক্ষণ সংস্কৃতের আলোচনা করি ও কিছুক্ষণ এক পুস্তকের পাণ্ডুলিপি দেখিয়া press-copy প্রস্তুত করি।” পাণ্ডুলিপির কথা শুনিয়া বাবুমশায় উহা দেখিতে চাহিলেন । অামি ঘরে আসিয়া উহা লইয়া গিয়া তাহার হাতে দিলাম । কিছুক্ষণ বইখানি দেখিয়া, কবিবর আমাকে ফিরাইয়া দিলেন, কিছুই বলিলেন না। অামি বিদায় লইয়া ঘরে ফিরিয়া আসিলাম । এইরূপে পতিসরের কাছারিতে আমার শ্রাবণ মাস অতীত হইল। ভান্দ্রের প্রথমে একদিন ম্যানেজারবাবু আমাকে ডাকিয়া বলিলেন, “বাবুমশায় আপনার নাম উল্লেখ করিয়া লিখিয়াছেন, শৈলেশ ! তোমার সংস্কৃতজ্ঞ কৰ্ম্মচারীকে এইখানে পাঠাইয়া দাও । এ বিষয়ে আপনার মতামত কি ?” বলা বাহুল্য, আমি যে কার্য্যে নিযুক্ত হইয়াছিলাম, তাহা আমার স্বভাবের অনুরূপ হয় নাই, সুতরাং ম্যানেজারবাবুর নিকটে ঐরুপ অচিন্তিত সুসংবাদ শুনিয়াই অামি আনন্দের সহিত সম্মতি প্রকাশ করিলাম, ভাবিলাম আমার আস্তরিক প্রার্থনা বুঝি পূর্ণ হইতে চলিল। আমি প্রস্থানের জন্য সজ্জিত হইয়া, বিদায় লইয়া, নৌকায় আত্রাই ষ্টেশনে পহুছিলাম এবং রাত্রি ( বোধহয় ) দশটার মধ্যে কলিকাতায় আসিয়া উপস্থিত হইলাম। কাৰ্য্য থাকিলে, নিশ্চিন্ত হইয়া থাকা অামার স্বভাব-বিরুদ্ধ। আমি কলিকাতায় অপেক্ষা করিলাম না, পরদিনই প্রাতঃকালের ট্রেনেই শাস্তিনিকেতনে আসিয়া & Φυ