পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গুরুদেবের সহিত দেখা করিলাম। ডাক্তার কালীপ্রসন্ন লাহিড়ী তখন ব্রহ্মচৰ্য্যাঙ্গমের ম্যানেজার ছিলেন । গুরুদেবের সঙ্গে আমি তাহার কাছে আসিলাম, গুরুদেব পরিচয় করাইয়া দিলেন । এতদিনে আমার আশার ফল ফলিল— আমি ব্রহ্মচর্য্যাশ্রমের অধ্যাপক হইলাম। কিছুদিন অধ্যাপনার পরে, একদিন গুরুদেব আমাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, হরিচরণ ! তুমি কি এই স্থানেই অধ্যাপনা করিবে, না পতিসরে ফিরিয়া যাইবে ? আমি উত্তর করিলাম, এই আশ্রমের কার্য্য আমার ভালই লাগিতেছে — আমি পতিসরে যাইব না।” গুরুদেব সন্তুষ্ট চিত্তে বলিলেন, “বেশ ! তবে এইখানেই থাক ? আমি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইলাম । তদবধি আমি এই বিদ্যালয়ের অধ্যাপক । আমি যখন কলেজের বিদ্যার্থী ছিলাম, সেই সময়ে পরীক্ষার্থ নির্দিষ্ট কাব্যাংশ ভিন্ন অন্য সংস্কৃত কাব্যের সহিত আমার পরিচয় হয় নাই। কোন সংস্কৃত কোষের বা পাণিনির পূর্ণ মূৰ্ত্তি আমি কখন দেখি নাই— মল্লিনাথের টীকায়ই খণ্ডিতরূপ কোষাংশ, সূত্রাংশ দেখিয়াছিলাম মাত্র। সুতরাং, ব্ৰহ্মচৰ্য্যাশ্রমের পুস্তকালয়ে সম্পূর্ণমূৰ্ত্তি সংস্কৃত কাব্য কোষ ও পাণিনি দেখিয়া আমি বিশেষ আনন্দ অনুভব করিয়াছিলাম । আমি উৎসাহের সহিত ঐ সকল পুস্তক পড়িতে আরম্ভ করিলাম এবং ক্রমশঃ অধ্যবসায়ের সহিত চেষ্টার ফলে নূতন নূতন বিষয় অবগত হইয়া বিশেষ আনন্দ অনুভব করিতে লাগিলাম। এই সময় গুরুদেবের নির্দেশানুসারে বালকগণের অধ্যাপনার্থ ३०१