পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মনোরঞ্জন ৰঙ্গ্যোপাধ্যায় (১৮৭১-১৯৫০) হুগলি জেলার চুচুড়ার অধিবাসী ছিলেন। তিনি ব্ৰহ্মবান্ধব উপাধ্যায়ের জ্ঞাতিভ্রাতা । ব্রহ্মচর্যাশ্রম বিদ্যালয় স্থাপনে রবীন্দ্রনাথের সহায়তাকল্পে ১৩০৮ বঙ্গাব্দের দ্বিতীয়ার্থে ব্ৰহ্মবান্ধব মাঝে মাঝেই শাস্তিনিকেতনে আসতেন । সেই সময় একবার, সম্ভবত সে বছরের পৌষ বা মাঘমাসে, তার সঙ্গে এলে মনোরঞ্জনও কয়েকদিন শাস্তিনিকেতনে বাস করে যান— তখনই রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তার পরিচয় হয় । তিনি সে-সময় সপ্ত ওকালতি পরীক্ষা দিয়েছেন । এর অল্পকাল পরেই রবীন্দ্রনাথ ব্রহ্মবান্ধবকে একটি চিঠিতে লিখেছিলেন, “মনোরঞ্জনবাবুকে আমার বিদ্যালয়ে বদ্ধ করিতে পারিলে আমি বিশেষ আনন্দলাভ করিব । তিনি আইনে পাস হউন বা না হউন এক বৎসর এখানে কাজ করিয়া যান তাহাতে আমার অনেক সাহায্য হইবে । কারণ, তিনি অভিজ্ঞ শিক্ষক, বিদ্যালয় ব্যাপারে তাহার কাছ হইতে আমি অনেক তথ্য লাভ করিতে পারিব । প্রথম হইতেই আমি তাহার প্রতি লুব্ধ দৃষ্টিক্ষেপ করিতেছিলাম— সেইজন্যই আশঙ্কা হইতেছে তিনি আইনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইতে পারিবেন না।" মনোরঞ্জন আইন পরীক্ষায় সেবার অকৃতকার্য হয়েছিলেন । এর পর রৰীন্দ্রনাথের আহবানে সম্ভবত ১৩০৮ বঙ্গাব্দের মাঘমাসে ( জাম্বুয়ারিফেব্রুয়ারি ১৯০২), ব্রহ্মচর্যাশ্রম বিদ্যালয়ে শিক্ষকরূপে যোগ দিয়েছিলেন । তিনি কৃতবিদ্য শিক্ষক ছিলেন, রবীন্দ্রনাথের বিদ্যালয়ে যোগ দেবার জাগে মনোরঞ্জন একাধিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন । কিন্তু ব্ৰহ্মচর্যাশ্রম বিদ্যালয়ে তিনি স্থায়ী হতে পারেননি, বৎসর-খানেক মাত্র এখানে অধ্যাপনা করে ১৩৭৯ বঙ্গন্ধের মাঘমাসে ( জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি ১৯• e ) মনোরঞ্জন অস্বাস্থ্যের কারণে শান্তিনিকেতন ছেড়ে চলে যান । অধ্যাপনাবিষয়ে নৈপুণ্য ও নিষ্ঠার ফলে তিনি রবীন্দ্রনাথের বিশেৰ আস্থাভাজন হয়েছিলেন । তার বিদায়গ্রহণকে কুৰীজনাথ ৰিভালয়ের \