পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একটি গভীর মঙ্গলসম্বন্ধ যে চিরন্তন হয়ে উঠেছে এই কথাটির পরিচয় আমার কাছে বহুমূল্য বলে জানবেন।” আর-একটি চিঠিতে লিখছেন, “আমাকে হিতৈষী বন্ধুভাবেই চিন্তা করিবেন।” মনোরঞ্জন সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথের হিতৈষণা যে কত গভীর ও আস্তরিক ছিল তার পরিচয় পাওয়া যায় তাকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত দেখবার ও প্রতিষ্ঠিত করবার জন্ত রবীন্দ্রনাথের আগ্রহ ও প্রয়াসে । মনোরঞ্জনকে লেখা অনেক পত্রই রবীন্দ্রনাথের এই প্রয়াসের সাক্ষ্য দেয় । মনোরঞ্চন যখন হুগলিতে ওকালতি ব্যবসায়ে প্রতিষ্ঠালাভে ব্যর্থ ও অভাব-অনটনে বিত্রত হয়ে ব্যবসায়ের অনুকূল অন্ত কোনো ক্ষেত্র অথবা জীবিকার বিকল্প বৃত্তি আম্বেষণের চিস্তায় ব্যাকুল, তখন রবীন্দ্রনাথ তাকে অধ্যাপনাকর্মে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করার আশ্বাস দিয়েছেন, নূতন বৃত্তিতে প্রস্তুতির জন্ত উৎসাহিত করেছেন, কখনো কোনো কাজের সন্ধান দিয়েছেন, কখনো বা কোনো কর্ম থেকে নিবৃত্ত হবার পরামর্শ দিয়েছেন এবং ওকালতি-ব্যবসায়ের অনুকূল কোনো ক্ষেত্রের সন্ধানও দিয়েছেন । মনোরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুত্র করুণাকিরণের কাছ থেকে জানা যায়, সম্বলপুরে ওকালতি ব্যবসায়ের স্বযোগ ও সম্ভাবনা সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথই তাকে সন্ধান দিয়েছিলেন । উপরন্ত, তৎকালে সম্বলপুরের অধিবাসী কবি বিজয়রত্ন মজুমদারকে মনোরঞ্জনের একখানি পরিচয়পত্রও লিখে দিয়েছিলেন । কর্মক্ষেত্রে স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় রবীন্দ্রনাথের সস্তোষ ৪ বৈশাখ ১৩১৪ বঙ্গাব্দে লিখিত পত্রের নিম্নোদধত অংশে মুম্পষ্ট : "আপনি যে পর্য্যস্ত নানা দ্বিধায় কর্মের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হইয়া না বসিতেছিলেন সে পর্য্যন্ত আপনার জন্ত বিশেষ উদ্বেগ অনুভব করিতেছিলাম। এখন যে এক জায়গায় স্থিতিলাভ করিয়া বসিয়াছেন ইহাতে বড়ই তৃপ্তি বোধ করিতেছি ।" :সজলাভের অভিলাষে রবীন্দ্রনাথ তাকে শান্তিনিকেতনে, কলকাতায় 文》●