পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নির্মাণ করান। এই বাড়িটি সম্পর্কে 'আশ্রমের রূপ ও বিকাশ’ গ্রন্থে: রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন— “সমূদ্রতীরবাসের লোভে পুরীতে একটা বাড়ি করেছিলুম। সে বাড়ি একদিনও ভোগ করবার পূর্বে আশ্রমের ক্ষুধার দাবিতে বিক্রি হয়ে গেল।” পুরীর এই বাড়ি ১৯০৫ খৃস্টাব্দে তিন হাজার টাকা মূল্যে বিক্রি করা হয়, এই তথ্য শাস্তিনিকেতন রবীন্দ্রভবনে রক্ষিত ঠাকুর পরিবারের হিসাবের খাতা থেকে জানা যায় ।* GEffR : Yoshinari Hori i stofffR Nistrst szfszfą মধ্যস্থতায় হোরি সান রবীন্দ্রনাথের নব-প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ে সংস্কৃত ভাষাশিক্ষার উদ্দেশ্যে এসেছিলেন । আশ্রম-বিদ্যালয়ে তিনি অল্পকালই ছিলেন । পাঞ্চাবে ভ্রমণ করতে গিয়ে তার অকালমৃত্যু ঘটে । রবীন্দ্রনাথ ত্রিপুরার মহারাজকুমার ব্রজেন্দ্রকিশোর দেববর্মাকে ১৩ শ্রাবণ ১৩০৯ বঙ্গাকো লেখা একটি চিঠিতে জানাচ্ছেন— “আমার এখানে একটি জাপানী ছাত্র সংস্কৃতশিক্ষা করিবার জন্ত আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছে। তাহার নাম হোরি— নিজেকে সে চিদানন্দ নাম দিয়াছে। বড় নম্র শাস্ত প্রকৃতি— তাহার অধ্যবসায় দেখিলে আশ্চৰ্য্য হইতে হয়। স্বদেশ ও স্বজনবর্গকে পরিত্যাগ করিয়া এই দূরদেশের প্রাস্তে মাঠের মধ্যে একাকী সংস্কৃতভাষা অধ্যয়নের কঠোর চেষ্টা বড় বিস্ময়কর। তাহার সৌম্যমূর্তি ও বিনীত ব্যবহারে এখানকার ভূত্যেরাও মুগ্ধ হইয়াছে। বৌদ্ধশাস্ত্র মূল সংস্কৃত গ্রন্থে অধ্যয়ন করাই তাহার উদ্দেশু । সংস্কৃত শিখিতে তাহার সুদীর্ঘকাল লাগিবে । কারণ ১. ঐসমীর রায়চৌধুরী এই তথ্যটি জামাদের জানিয়েছেন । ২. প্রবাসী, কার্তিক ১৩৪৮, পৃ. ১• ३१6