পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আলোচ্য পত্রের রচনাকাল অকুমান করা হয়েছে। “বিদ্যালয়ের কর্তৃত্বভার আমি আপনাদের তিন জনের উপর দিলাম— আপনি জগদানন্দ ও স্ববোধ ।” শাস্তিনিকেতন বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অল্পকালের মধ্যে পত্নী ও কস্তার গুরুতর পীড়ার জন্ত রবীন্দ্রনাথ বৎসর দুই বিদ্যালয় থেকে প্রায়ই দূরে থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন । জমিদারি তত্ত্বাবধান উপলক্ষেও কখনো কখনো র্তাকে ঘোরাঘুরি করতে হয়েছে, এ-ছাড়া স্বদেশের নানা কর্মের আমন্ত্রণে যোগদান তো ছিলই । ১৯১৩ খৃস্টাব্দে লওনে অস্ত্রোপচারের আগে পর্যস্ত রবীন্দ্রনাথ দীর্ঘদিন অৰ্শরোগে কষ্ট পেয়েছেন। শারীরিক অসুস্থতার জন্তেও অনেক সময় তাকে বিদ্যালয়ের কর্মভার থেকে মুক্তি নিতে হয়েছে। এই-সমস্ত কারণে বিভিন্ন সময়ে রবীন্দ্রনাথ বিদ্যালয়ের পরিচালনদায়িত্ব বিশেষ কোনো শিক্ষক বা শিক্ষকমণ্ডলীর উপর ন্যস্ত করেছিলেন। ঐ সময়ে এবং পরবর্তীকালে ও বিদ্যালয়-পরিচালন-ব্যবস্থার পরিবর্তনের একটি বিবরণ এখানে দে ওয়া গেল— ১৩০৮ বঙ্গাক্সের পৌষ মাসে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালে তার সম্পূর্ণ কর্তৃত্বভার রবীন্দ্রনাথ ব্ৰহ্মবান্ধব উপাধ্যায়ের উপর অর্পণ করেন । ব্রহ্মবান্ধবের পক্ষে স্থায়ীভাবে শাস্তিনিকেতনে থাকা সম্ভব হত না বলে রেবাচাদই সমস্ত তত্ত্বাবধান করতেন, ব্রহ্মবান্ধব মাঝে মাঝে শাস্তিনিকেতনে এসে কিছুদিন থেকে পরামর্শ বা নির্দেশ দিয়ে যেতেন । সম্ভবত রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে মতাস্তরের ফলেই ব্রহ্মবান্ধব কয়েকমাসের মধ্যেই বিদ্যালয়ের সঙ্গে সকল সংস্রব ত্যাগ করেন, এবং রেবার্টাদ ও ১৩০৯ বঙ্গাক্সের গ্রীষ্মাবকাশের পর আর বিদ্যালয়ে ফিরলেন না । এর পর মনোরঞ্চন বন্দ্যোপাধ্যায় রবীন্দ্রনাথের নির্দেশ-অনুযায়ী প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে থাকেন। 3\ge