পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এইসময় পত্নীর গুরুতর পীড়ার জন্ত রবীন্দ্রনাথকে দীর্ঘকাল কলকাতায় আবদ্ধ থাকতে হয়। দূর থেকে নির্দেশ দিয়ে বিস্তালয়ের দৈনন্দিন কাজকর্মের যথাযথ ও সুশৃঙ্খল চালনায় অস্থবিধা বুঝে ১৩০৯ সালের পুজোর ছুটির পর রবীন্দ্রনাথ তিনজন শিক্ষকের এক অধ্যক্ষসভা’ গঠন করে তাদের উপর বিদ্যালয়ের কর্তৃত্বভার অর্পণ করেন । 曝 এই ব্যবস্থা কিন্তু বেশিদিন স্থায়ী হয় নি । অচিরে বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণের মধ্যে, বিশেষত, মনোরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুঞ্জলাল ঘোষের মধ্যে মতাস্তর ও মনাস্তুর হওয়ায় "অধ্যক্ষসভা’ প্রায় অচল হয়ে পড়ে। তখন, ১৩-৯ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসের শেষের দিকে, রবীন্দ্রনাথ র্তার মধ্যম জামাতা, বিদ্যালয়ের তৎকালীন শিক্ষক সত্যেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের উপর পরিচালনার সম্পূর্ণ ও একক দায়িত্ব দিলেন। এই ব্যবস্থাও যথেষ্ট কার্যকর হল না । অপরকে চালনা করার স্বাভাবিক ক্ষমতা সত্যেন্দ্রনাথের তেমন ছিল না । শিক্ষক ছাত্র সেবক —সকলকে পরিচালনা করে বিদ্যালয়ে শৃঙ্খলাবিধানে সত্যেন্দ্রনাথ ব্যর্থ হলেন । সেই পর্বে, রবীন্দ্রনাথ তার পীড়িত মধ্যম কস্তা রেণুকার আরোগ্যচেষ্টায়, প্রথমে হাজারিবাগ, পরে আলমোড়ায় অধিকাংশ সময় থাকায়, বিদ্যালয়ের কাজকর্মের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধান করতে পারছিলেন না । সেজন্ত আলমোড়ায় থাকাকালে রবীন্দ্রনাথ তার বন্ধু মোহিতচন্দ্র সেনের উপর বিদ্যালয়ের অধ্যাপনবিধি-নির্ধারণ ও তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দিলেন এবং আচার্য জগদীশচন্দ্র বস্ব, মোহিতচন্দ্র সেন ও ডাক্তার দুর্গাদাস গুপ্তকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে তার উপর বিদ্যালয়ের কর্তৃত্বভার স্তন্ত করবেন ঠিক করলেন ( দ্রষ্টব্য, বর্তমান গ্রন্থে সংকলিত মনোরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা ১৮-সংখ্যক পত্র, পৃ. ২৯ )। কিন্তু দুর্গাদাস এই ভার গ্রহণে অসমর্থ হওয়ায় তার জায়গায় রমণীমোহন চট্টোপাধ্যায় কমিটিৰ অন্তভুক্ত হলেন । ১৩১০ বঙ্গাব্দের ১৫ আষাঢ় রবীন্দ্রনাথ জগদীশচন্দ্রকে રહી છે