পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একটি চিঠিতে লিখছেন, “বিদ্যালয়ের জন্ত আমার উদ্বেগের সীমা নাই।.. তুমি মোহিতবাবু ও রমণীকে লইয়া বিদ্যালয়কে দাড় করাইয়। कां७ ।" : এর অল্পকাল পর, ১৩১০ বঙ্গাব্দের শীতের ছুটিতে শাস্তিনিকেতনবিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষক সতীশচন্দ্র রায়ের বসন্তরোগে বিদ্যালয় গৃহেই মৃত্যু ঘটে। এই সময় সাময়িকভাবে বিদ্যালয় শিলাইদহে স্থানান্তরিত হয়। সেখানে প্রধান শিক্ষকরূপে মোহিতচন্দ্র সেন যোগ দেন । দীনেশচন্দ্র সেনকে লেখা একটি চিঠিতে রবীন্দ্রনাথ লিখছেন, “মোহিতবাবু আসিয়া বিদ্যালয়ে অধ্যাপনা ও অন্তান্ত অনেক বিষয়ে বিশেষ উন্নতি হইয়াছে।" ১৩১১ সনের গ্রীষ্মাবকাশের পর পুনরায় বিদ্যালয়ের কাজ শুরু হয়ে শাস্তিনিকেতন আশ্রমে । মোহিতচন্দ্র ছাত্রসংখ্যাবৃদ্ধি, পাঠ্যসূচী এবং পাঠনব্যবস্থার বিধিবদ্ধ রূপদানে মনোনিবেশ করলেও শারীরিক কারণে র্তাকে কলকাতায় ফিরে যেতে হয় । তার অনুপস্থিতিতে বিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। আরো কয়েকমাস মোহিতচন্দ্র প্রধান শিক্ষকের পদে থাকলেও প্রকৃতপক্ষে রবীন্দ্রনাথকেই এই সময় বিদ্যালয়-পরিচালনার দায়িত্ব নিতে হয় । এই সময়ে রবীন্দ্রনাথের মানসিক অবস্থার কথা মোহিতচন্দ্রকে লেখা একাধিক চিঠিতে জানা যায় । এই সময় পূজাবকাশের মধ্যে ২১ আশ্বিন ১৩১১ বঙ্গাবে রবীন্দ্রনাথ ভূপেন্দ্রনাথ সাঙ্গলের উপর বিদ্যালয় পরিচালনার ভার দিলেন । শাস্তিনিকেতনবিদ্যালয়ের সঙ্গে মোহিতচন্দ্রের কর্মস্থত্ৰ-যোগ এখানেই ছিন্ন হয়। ভূপেন্দ্রনাথ সম্ভবত ১৩১৫ বঙ্গাব্দের শ্রাবণের শেষের দিকে অস্থস্থতার জন্ত সাময়িকভাবে বিদ্যালয় থেকে চলে যান। স্থস্থ হয়ে উঠেও, পরে আর তিনি কাজে যোগ দেন নি। স্বতরাং আবার রবীন্দ্রনাথকেই পরিচালনার প্রত্যক্ষ দায়িত্ব নিতে হল । অবশেষে ১৩১৭ বঙ্গাজের অগ্রহায়ণ মালে রবীন্দ্রনাথ ৰিডালয় ఇతిహా