পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপাসনায় বসত, গায়ত্ৰীমন্ত্র ধ্যান করত, উপাসনা শেষে সমবেত হয়েবেদমন্ত্র পাঠ করত। প্রাতঃকালে উপাসনার পর ছাত্ররা শিক্ষকদের, পদধূলি নিয়ে প্রণাম করে গাছের তলায় নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে পাঠগ্রহণের জন্ত বসত। রাল্পঘিরে খাবার সময় ব্রাহ্মণ ও অব্রাহ্মণ ছাত্র শিক্ষক আলাদা পঙক্তিতে বসতেন । ব্রাহ্মণ-পাচক ও ব্রাহ্মণ-কর্মী আহারাধীদের পরিবেশন করত । অব্রাহ্মণ কুঞ্জলাল ঘোষ শিক্ষকরূপে বিদ্যালয়ে যোগ দেওয়ায় সমস্তার উভেব হয়। রবীন্দ্রনাথ হিন্দু বর্ণাশ্ৰম-সমাজের এই সংকীর্ণ আচার ও আচরণবিধি অস্তরের মধ্যে স্বীকার করে নিতে পারেন নি । ১৩১৮ বঙ্গাব্দের ৯ ও ১৬ কার্তিক, তৎকালীন সর্বাধ্যক্ষ নেপালচন্দ্র রায়কে লেখা রবীন্দ্রনাথের পত্রাংশদুটি: তার মনোভাব পরিবর্তনের পরিচয় দেয়— “...একজন মুসলমান-অভিভাবক ছাত্র দিতে চান। আমিও লইতে ইচ্ছা করি। ছেলেটির বয়স অল্পই, আমি লিখিয়াছিলাম তাহার জন্ত চাকর ও স্বতন্ত্র ব্যবস্থার দরকার, তাহার যে উত্তর পাইয়াছি তাহ1 পাঠাই । এ ছেলেটিকে যদি আপনারা লওয়া স্থির করেন তৰে অভিভাবককে জানাইতে বিলম্ব করিবেন না— যদি সুবিধা বোধ না করেন তাহাও লিখিবেন ।” "মুসলমান ছাত্রটির সঙ্গে একটি চাকর দিতে র্তাহার পিতা রাজি অতএব এমন কি অসুবিধা, ছাত্রদের মধ্যে এবং অধ্যাপকদের মধ্যেও যাহাদের আপত্তি নাই তাহারা তাহার সঙ্গে একত্র খাইবেন । শুধু তাই নয় — সেই সকল ছাত্রের সঙ্গেই ঐ বালকটিকে এক ঘরে রাখিলে সে নিজেকে নিতান্ত যুখভ্রষ্ট বলিয়া অনুভব করিবে না। একটি ছেলে লইয়া পরীক্ষা শুরু করা ভাল অনেকগুলি ছাত্র লইয়া তখন যদি ». जड़ेषा, विचखांब्रटौ नङ्गिक, भांश-कन्छ >०१७, *. ७७७-०* ריכ\a