পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হয়। কিন্তু বুৰীন্দ্রনাথের পক্ষে এই দায়িত্বভার দীর্ঘকাল বহন করা তার শারীরিক ও অন্তান্ত কারণে সম্ভব ছিল না । তিনি দীনেশচন্দ্র সেনকে এইজন্তই বিদ্যালয়ে যোগ দিতে অনুরোধ করেন । কিন্তু, ১ অগ্রহায়ণ ১৩১১ তারিখে রবীন্দ্রনাথ দীনেশচন্দ্রকে লিখছেন, “সম্প্রতি বিদ্যালয়ে আমাদের আবশ্বকের অতিরিক্ত অনেক বেশি শিক্ষক সঞ্চিত হয়েছে । অতএব এখন আপনি এখানে আসবার জন্তে প্রস্তত হবেন না । আমি একটা ব্যবস্থা করে নিয়ে পরে আপনাকে জানাব।" রবীন্দ্রনাথ শাস্তিনিকেতন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরূপে দীনেশচন্দ্রকে পেতে বিশেষ আগ্রহী থাকলেও দীনেশচন্দ্রের পক্ষে সেখানে যোগ দেওয়া সম্ভব হয় নি । পত্র ২৯ । ৩•-সংখ্যক পত্রে অধ্যাপকগণের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের সান্ধ্যআলোচনা-সভার বিবরণ আছে । বর্তমান পত্রে এই সভার যে প্রসঙ্গ আছে, তা পরবর্তী পত্রের অপেক্ষাকৃত বিস্তারিত বিবরণের পূর্বে লিখিত, এই অনুমানে পত্রের কাল নির্ধারণ করা হয়েছে । “আজকাল আমাদের সভা বেশ জমজমাট—" এই সায়ংকালীন সভা প্রসঙ্গে অজিতকুমার চক্রবর্তী ব্রহ্মবিদ্যালয়' ( ১৩১৮) গ্রন্থে লিখেছেন, "[ রবীন্দ্রনাথ ] অধ্যাপকদিগের প্রত্যেককে অধ্যয়নে অনুশীলনে ও রচনাকার্যে উৎসাহ দিলেন, যাহার যে বিষয়ে অনুরাগ তাহাকে সেই বিষয়ে পুস্তক আনাইয়া দিয়া পরামর্শ দিয়া আলোচনা করিয়৷ সেই অমুরাগকে পুরাপুরি কাজে লাগাইয়া দিলেন । অধ্যাপকগণকে লইয়া একটি সায়ংসভা গঠিত করিলেন– তাহাতে নানাবিষয়ে আলোচনা এবং পাঠ হইত। সাহিত্য, সমাজ, রাষ্ট্রধর্ম সকল বিষয়ে পাঠ এবং কথাবার্তা হইত. " জগদানন্দ রায় স্মৃতি' প্রবন্ধে ( শাস্তিনিকেতন পত্র', জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৩ ) રાઉ (તા.