পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপিচ দ্রষ্টবা, প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়, রবীন্দ্রজীবনী ২ ( ১৩৯৫ ), روه ډ-ه د ج په “আপনার প্রস্তাবটি উত্তম । কিন্তু ভাল ছেলেকে তার ভালত্বের জন্য পুরস্কার দেওয়াটা কি শ্রেয় ?” রবীন্দ্রনাথ তার বিদ্যালয়ে ছাত্রদের লেখাপড় খেলাধুলা প্রভৃতি ক্ষেত্রে পারদর্শিতার জন্ত পুরস্কার দানের প্রথা প্রবর্তন করেন নি। এমনকি, ছাত্রদের কৃতিত্ব-অনুযায়ী শ্রেণীর মধ্যে প্রথম দ্বিতীয় ইত্যাদি প্রকারে চিহ্নিত করার পদ্ধতিও বর্জন করেছিলেন । ‘জীবনস্মৃতি’ গ্রন্থে ‘বাড়ির আবহাওয়া’ অধ্যায়ে তার ছাত্রাবস্থার একটি ঘটনাকে উল্লেখ করে এই প্রসঙ্গে যে মন্তব্য করেছেন, এখানে তা উদদ্ভুত হল—

  • - ইস্কুলে আমি কোনোদিন প্রাইজ পাই নাই, একবার কেবল সচ্চরিত্রের পুরস্কার বলিয়া একখানা ছন্দোমালা বই পাইয়াছিলাম । আমাদের তিনজনের মধ্যে সত্যই পড়াশুনায় সেরা ছিল । সে কোনোএকবার পরীক্ষায় ভালোরূপ পাস করিয়া একটা প্রাইজ পাইয়াছিল । সেদিন ইস্কুল হইতে ফিরিয়া গাড়ি হইতে নামিয়াই দৌড়িয়া গুণদাদাকে খবর দিতে চলিলাম। তিনি বাগানে বসিয়া ছিলেন । আমি দূর হইতেই চীৎকার করিয়া ঘোষণা করিলাম, ‘গুণদাদা, সত্য প্রাইজ পাইয়াছে।’ তিনি হাসিয়া আমাকে কাছে টানিয়া লইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, ‘তুমি প্রাইজ পাও নাই ? আমি কহিলাম, না, জামি পাই নাই, সত্য পাইয়াছে।’ ইহাতে গুণদাদা ভারি খুশি হইলেন । আমি নিজে প্রাইজ না পাওয়া সত্ত্বেও সত্যর প্রাইজ পাওয়া লইয়া এত উৎসাহ করিতেছি, ইহা তাহার কাছে বিশেষ একটা সদগুণের পরিচয় ৰলিয়া মনে হইল। তিমি আমার সামনেই লে-কথাটা অন্ত লোকেত্ব কাছে

●●