পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“প্রেমদাস স্বন্দর মূরখ হ্যায়---” সস্তকবি প্রেমদাস গুজরাটের কাথিয়াবাড়ের কবীরপন্থী সম্ভ ভান সাহেবের ( ১৭০০-১৭৫৫ ) অম্বুবতী জীবনদাসের শিষ্য ছিলেন । এর রচিত কবিতার সঙ্গে কোন স্থত্রে কীভাবে রবীন্দ্রনাথ পরিচিত হয়েছিলেন জানা যায় না । জগদীশচন্দ্র বস্তুকে ২৪ জুন ১৮৯৯ খৃষ্টাব্দে লেখা একটি চিঠিতেও রবীন্দ্রনাথ প্রেমদাসের একটি পদের কয়েকছত্ৰ ব্যবহার করেছেন ( দ্র, চিঠিপত্র ৬, পত্র ৩ ) । ক্ষিতিমোহন সেন ‘ভারতীয় মধ্যযুগে সাধনার ধারা’ ( প্রকাশ ১৯৩• ) গ্রন্থে প্রেমদাসের উল্লেখ করেছেন । শ্ৰীমতী পম্পা মজুমদার ‘রবীন্দ্রসংস্কৃতির ভারতীয় রূপ ও উৎস’ (১৯৭২) গ্রন্থে এবং ঐরামেশ্বর মিশ্রের মধ্যযুগীন হিন্দি সম্ভসাহিত্য ঔর রবীন্দ্রনাথ’ ( ১৯৮৯ ) গ্রন্থে প্রেমদাসের সাহিত্যস্থষ্টির সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের পরিচয়ের কথা জানা যায় । পত্র ৫ • । “আমাদের জমিদারীর মধ্যে একটা কাজ পত্তন করে এসেছি |...” স্বদেশী আন্দোলনের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের যোগ প্রথম দিকে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ থাকলেও অল্পকালের মধ্যেই তিনি আন্দোলনের পথ থেকে সরে আসেন ; দেশের প্রকৃত উন্নতির পন্থাবিষয়ে আন্দোলনে অন্তান্ত নেতৃবর্গের সঙ্গে মতপার্থক্যই এর কারণ। আমাদের দেশের মুমূৰু পল্লীসমাজের উজ্জীবনই দেশের প্রকৃত উন্নতির একমাত্র উপায়, এই বিশ্বাস রবীন্দ্রনাথ দৃঢ়ভাৰে অস্তরে পোষণ করতেন, তার নানা সমকালীন রচনায় এই আদর্শ মুম্পষ্ট । পাবনা প্রাদেশিক সন্মিলনীর অধিবেশনে ( ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮ ) সভাপতির অভিভাষণে রবীন্দ্রনাথ এই বিষয়ে তার চিত্তা দেশবাসীর সামনে উপস্থাপন করেন । সমসাময়িককালে প্রচারিত পল্পীসমাজ ❖ ግእ