পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিজ জমিদারিতে পল্লীউন্নয়ন-কর্মস্থচী রূপায়ণের এই প্রথম প্রচেষ্টা নানা কারণে স্থায়ী হয় নি । পল্লীউন্নয়ন বিষয়ে রবীন্দ্রনাথের চিস্তা ও তা বাস্তবে রূপায়িত করার চেষ্টার বিস্তারিত তথ্য ‘পল্লী প্রকৃতি’ ( ১৯৬২ ) সংকলনগ্রন্থের গ্রন্থপরিচয় অংশে (পৃ. ২২১-৭৪ ) সংকলিত । পত্র ৫১ ৷ “হঠাৎ হৃদরোগে সস্তোষের বাবা মারা গেছেন.” সস্তোষচন্দ্র মজুমদারের পিতা শ্ৰীশচন্দ্র মজুমদার ৪০ বৎসর বয়সে, ৮ নভেম্বর ১৯৪৮ খৃস্টাব্দে মারা যান । এই সময় তিনি সাওতাল পরগনার দুমকা জেলায় ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেটরূপে কর্মরত ছিলেন। শ্ৰীশচন্দ্রের অকালমৃত্যুর পর রবীন্দ্রনাথ বন্ধুর সমগ্র পরিবারটির অভিভাবকরূপে তার কর্তব্য পালন করেছেন । শ্ৰীশচন্দ্রের সাহিত্য-প্রতিভার প্রতি রবীন্দ্রনাথ বিশেষ শ্রদ্ধাশীল ছিলেন, নবপর্যায় ‘বঙ্গদর্শনে’র সম্পাদকতা তারই আগ্রহ ও সনির্বন্ধ অতুরোধে রবীন্দ্রনাথ গ্রহণ করেছিলেন । রবীন্দ্রনাথের “ছিল্পপত্র’ গ্রন্থে ও বিশ্বভারতী পত্রিকায় শ্রীশচন্দ্রকে লেখা তার কয়েকখানি পত্র সংকলিত, এগুলির মধ্যে উভয়ের নিবিড় বন্ধুতার পরিচয় আছে । “সত্যেন্দ্র রেণুকার মৃত্যুর পর এতদিন বোলপুরেই কাজ করিতেছিল— অদ্য মাস পাচ ছয় হইল আমিই চেষ্টা করিয়া তাহার বিবাহ দিয়াছিলাম।” রবীন্দ্রনাথের মধ্যম জামাতা সত্যেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য ১৩৭৯ বঙ্গাব্দে শাস্তিনিকেতন বিদ্যালয়ে শিক্ষকরূপে যোগ দেন। তার পত্নী রেণুকার মৃত্যু হয় ভাত্র ১৩১১ বঙ্গাৰে । রবীন্দ্রনাথ উদযোগী হয়ে আষাঢ় ১৩১৫ বঙ্গাঝে পাথুরিয়াঘাটার সতীন্দ্রমোহন ঠাকুরের কন্যা ছায়ার সঙ্গে পুনরায় র্তার বিবাহ দেন । ३१6