পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রভত করে দেন । এ-বিষয়ে রথীন্দ্রনাথ তার ‘পিতৃস্থতি’ গ্রন্থের ‘আবার শিলাইদহ অধ্যায়ে লিখেছেন— “১৯০৯ সালের শেষ দিকে আমি দেশে ফিরলাম। এসে দেখি শিলাইদহের কুঠিবাড়ি আমার জন্ত প্রস্তত— জমিদারির কাজকর্ম তদারক করার ফাকে ফাকে আমি আমার খেতখামার গড়ে তুলব, কৃষি নিয়ে পরীক্ষা গবেষণা করব— এই ছিল বাবার অভিপ্রায় । -- ফিরে আসার অল্প কিছুদিন পরেই বাবা আমায় নিয়ে বেরোলেন জমিদারি অঞ্চলে— উদ্দেশু, প্রজাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ আলাপ-পরিচয় হবে ও সেইসঙ্গে জমিদারির কাজকর্ম আমি তার কাছ থেকে বুঝে নেব । • • • শিলাইদহে আমার নূতন জীবন শুরু হল— আমি যেন ইংলণ্ডআমেরিকার পল্লী-অঞ্চলের একজন সম্পন্ন-কৃষাণ । অনেকখানি জায়গা জুড়ে খেত তৈরী হল, আমেরিকা থেকে আমদানি হয়ে এল ভুট্টার বীজ ও গৃহপালিত পশুর জাব খাবার মতো নানাবিধ ঘাসের বীজ। এ-দেশের উপযোগী করে নানারকম লাঙল, ফলা ও কৃষির অন্যান্য যন্ত্রপাতি তৈরী করা হল— এমন কি, মাটির গুণাগুণ পরীক্ষা করার জন্ত ছোটোখাটো একটি গবেষণাগারের পত্তন হল ।” শিলাইদহে রথীন্দ্রনাথকে রবীন্দ্রনাথ কর্মের যে রথ চালাবার জন্য রেখে এসেছিলেন তা শেষ পর্যস্ত সফল হয় নি ; রথীন্দ্রনাথের ‘সম্পন্ন কৃষাণ-জীবন সেখানে দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে নি । পত্র ৬০ । “আপনি যদি মেয়ো হাসপাতালে থাকতে ইচ্ছা করেন তবে এইসঙ্গে সেখানকার অধ্যক্ষ ডাক্তার দ্বিজেন্দ্রনাথ মৈত্রকে যে পত্ৰখানি দিলুম.” * কলকাতার মেয়ো হাসপাতালের তৎকালীন রেসিডেন্ট স্বপারিন sty^2)