পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করিতেছি।” এই সময় রথীন্দ্রনাথ শিলাইদহে কৃষিকর্মে ব্যাপৃত ছিলেন । এ-বিষয়ে ৫৯-সংখ্যক পত্র-পরিচয়ে বিস্তারিত আলোচনা আছে । রবীন্দ্রনাথের কনিষ্ঠ জামাতা নগেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়ও এইসময় রথীন্দ্রনাথের সঙ্গে কৃষিকর্মে যোগ দিয়ে সপরিবারে শিলাইদহে বসবাস করছিলেন । পত্র ৬৮। .*বিদ্যালয়ের জন্য তিন হাজার টাকা শতকরা বারো টাকা স্বদে ধার লইয়াছি...” শাস্তিনিকেতন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকাল থেকে রবীন্দ্রনাথকেই প্রধানত এর আর্থিকভার বহন করতে হয়েছে । অবশু কোনো কোনো বন্ধু ও হিতৈষীর কাছ থেকে কখনো কখনো তিনি আমুকুল্য লাভ করেছেন । ত্রিপুরার মহারাজা রাধাকিশোর মাণিক্য কিছুকাল প্রতি বছর এক হাজার টাকা রাজ্যের সরকারি তহবিল থেকে শাস্তিনিকেতন বিদ্যালয়ে দেবার ব্যবস্থা করেন। আশ্রমবিদ্যালয়ের প্রথম যুগের অধ্যাপক মোহিতচন্দ্র সেন এক হাজার টাকা বিদ্যালয়ের আর্থিক সহায়তার জন্য দান করেন, সে-কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ স্বীকার করেছেন । কিন্তু বিদ্যালয়ের অর্থ-সংকট প্রথমাবধিই ছিল । এই বিদ্যালয়ের সূচনায় রবীন্দ্রনাথ ছাত্রদের কাছ থেকে বেতন না নেওয়ার যে-নীতি অবলম্বন করেন, এই আর্থিক অসচ্ছলতার জন্যই শেষপর্যন্ত তা বিসর্জন দিতে হয়। এই প্রতিষ্ঠানের অভাব মোচনের জন্য রবীন্দ্রনাথ যে কতখানি ভ্যাগ স্বীকার করেছিলেন তা তার রচনার একটি অংশ উদ্যত করলে অনেকখানি স্পষ্ট হবে— “ছেলেদের অল্পবস্ত্র, প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্ৰী যেমন করে হোক আমাকেই জোগাতে হত, অধ্যাপকদের সাংসারিক অভাব মোচন করতে হত।. আমার গ্রন্থের স্বত্ব কিছু কিছু করে ৰিক্রয় করতে হল । এ-দিকে ও-দিকে ছু-একটা যা সম্পত্তি ছিল ૨છrgr