পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এলেন, কিন্তু কয়েকদিন সব দেখেশুনে বললেন, "ছেলেরা গাছে চড়ে, চেচিয়ে কথা কয়, দৌড়য়, এ তো ভালো না। আমি বললাম, 'দেখুন, আপনার বয়সে তো কখনও তারা গাছে চড়বে না। এখন একটু চড়তেই দিন-না । গাছ যখন ডালপালা মেলেছে তখন সে মানুষকে ডাক দিচ্ছে । ওরা ওতে চড়ে পা ঝুলিয়ে থাকলই-ব ।’ তিনি আমার মতিগতি দেখে বিরক্ত হলেন । মনে আছে, তিনি কিওরিগাটেন প্রণালীতে পড়বার চেষ্টা করতেন । তাল গোল, বেল গোল, মানুষের মাথা গোল— ইত্যাদি সব পাঠ শেখাতেন । তিনি ছিলেন পাশের ধুরন্ধর পণ্ডিত, ম্যাট্রিকের কর্ণধার। কিন্তু এখানে তার বনল তা, তিনি বিদায় নিলেন । তারপর থেকে আর হেডমাস্টার রাখি নি।" মনোরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় ব্রহ্মবিদ্যালয়ের প্রায় আরম্ভে বৎসরকাল প্রধান অধ্যাপকের পদে ছিলেন, এই বইয়ের ১২-সংখ্যক চিঠিতে রবীন্দ্রনাথ সেই প্রসঙ্গের উল্লেখ করেছেন । অছুমান করা চলে, 'শাস্তিনিকেতন’ পত্রে প্রকাশিত রবীন্দ্রনাথের ঐ রচনাটি পড়ে মনোরঞ্জনের ধারণা হয়, বর্ণিত হেডমাস্টার তিনিই । হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় তার ‘রবীন্দ্রনাথের কথা’ গ্রন্থে “পূর্ব-প্ৰতি" রচনায় লিখেছেন (পৃ. ২৬ ), "নগেনবাবু [ নগেন্দ্রনারায়ণ রায় ] রামপুরহাট হাইস্কুলের হেডমাস্টার ছিলেন । কুঞ্জবাবুর অবসর গ্রহণের পরে তিনি আশ্রমের অধ্যাপক হন ।. ‘স্বতি’তে ৮৫ পৃষ্ঠায় কবি এরষ্ট বিষয় লিখেছেন, মনে হয় ।” “দেশে দেশে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্চি।” শান্তিনিকেতন বিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকদের নিয়ে কলকাতায় শারদোৎসব অভিনয়ের পর ( অ্যালফ্রেড থিয়েটার ও ম্যাডান থিয়েটার ; ቖ ፭ሆ