পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই চিঠি থেকে জানা যাচ্ছে, বিদ্যালয়ের কোনো কোনো ছজিকে জাতীয় শিক্ষা পরিষদের পরীক্ষা দেওয়ার জন্ত পাঠানো হয়েছিল। পত্রে উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য ও অজিতকুমার চক্রবর্তীর মধ্যম ভ্রাতা মুজিতকুমার চক্রবর্তীকে সে বছর রবীন্দ্রনাথ পরীক্ষার্থীরূপে পাঠানোর জন্ত অনুমোদন করেছেন। অনুমান করা যায়, এই ব্যবস্থা স্বল্পকালই স্থায়ী হয় ।

  • তারকবাবুরা আমাকে ধরেছেন. সানোসান যদি তাদের টেকনিক্যাল বিদ্যালয়ের ছাত্রদের জুজুৎস্থ শেখান." ஒ জাতীয় শিক্ষণপরিষদের অন্যতম উদ্যোক্তা, প্রখ্যাত আইনজীবী স্তর তারকনাথ পালিত ১৯০৬ খৃস্টাৰে বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনষ্টিটিউট নামে কারিগরি শিক্ষার একটি বিদ্যালয় কলকাতায় আপার সাকুলার রোডে স্থাপন করেন ; পরবর্তীকালে এই প্রতিষ্ঠান যাদবপুরে স্থানান্তরিত হয় এবং এর নতুন নামকরণ হয় ‘কলেজ অব এঞ্জিনিয়ারিং অ্যাও টেকনোলজি’ । o

শাস্তিনিকেতন বিদ্যালয়ে সেইসময় রবীন্দ্রনাথ জুজুৎস্থ শিক্ষা ব্যবস্থার যে আয়োজন করেন, তার দৃষ্টাস্তে তারকনাথ তার টেকনিক্যাল বিদ্যালয়ের ছাত্রদের শিক্ষিত করতে উদযোগী হয়েছিলেন। সানো সান । কুস্বমতো । জাপানী জুজুৎস্থ-শিক্ষক সানো সান সম্বন্ধে মনোরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা রবীন্দ্রনাথের ৩৪-সংখ্যক পত্রের পরিচিতি অংশে (পৃ. ২৫৯ ) সংক্ষিপ্ত পরিচয় আছে। বিদ্যালয়ের তৎকালীন ছাত্র সত্যরঞ্জন বহু ‘রবীন্দ্রনাথ ও ত্রিপুরা’ (১৩৬৮) গ্রন্থে “আশ্রম-স্মৃতি” রচনায় লানো সান ও কুস্বমতো সম্বন্ধে যে স্থতিকথা লিখেছেন তা উন্থেত হল— “আমরা জুজুৎস্ব-বিশারদ সানো সান-এর কাছে জাপানী মল্পৰিভা শিক্ষা করি। কী স্বগঠিত গৌরবর্ণ দেহু অথচ সাধারণ জাপানীদের মত খৰ্ব্বাঙ্কতি নয়। শান্ত প্রকৃতি যুদ্ধভাৰী, কত যত্ন নিয়েই কুক্তি 889