পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাজ নিতে হয় । এই সময় তার অভিধান সংকলনের কাজ বন্ধ হয়ে যায় । রবীন্দ্রনাথ হরিচরণকে র্তার অভীষ্ট কর্মে ফিরিয়ে আপনার জন্ত মহারাজ মণীন্দ্রচন্দ্র নদীর সঙ্গে দেখা করে তার জন্ত মাসিক পঞ্চাশ টাকা বৃত্তির ব্যবস্থা করেন । হরিচরণ তিন মাস পর শাস্তিনিকেতনে ফিরে পুনরায় স্বস্থানে স্বকার্যে অভিনিবিষ্ট হন । এর পর সুদীর্ঘকাল নিরলস পরিশ্রম করে ১৩৩০ বঙ্গাৰো তিনি এই বৃহৎ কোষগ্রন্থ সংকলন সমাপ্ত করেন । এরপরও দশ বৎসর তার পক্ষে গ্রন্থমুদ্রণের ব্যবস্থা করা সম্ভবপর হয় নি ; এইসময় তিনি এই গ্রন্থের পাণ্ডুলিপি সংস্কারে প্রবৃত্ত ছিলেন । এই অভিধান রচনা ও প্রকাশ সম্পর্কে রামেন্দ্রম্বন্দর ত্ৰিবেদীকে রবীন্দ্রনাথ যে চিঠি লেখেন এখানে সেটি সংকলিত হল— હૈ প্রতিনমস্কারপূর্বক নিবেদন আপনাদের অধ্যাপক হরিচরণ এক খানি বাংলা অভিধান রচনায় নিযুক্ত হইয়াছেন— আপনার যাহা চান ইনি তাহাই করিয়া তুলিতেছেন। ব্যাপারখানি প্রকাও হইবে । একবার দেখিয়া দিবেন। যদি পছন্দ হয় তবে এটা লইয়া কি করা কর্তব্য স্থির করিয়া দিবেন । বাংলা পাহিত্যে যে সকল সংস্কৃত শব্দ ব্যবহার হয় না এমন শব্দও হহাতে স্থান পাইয়াছে সেইটে আমার কাছে সঙ্গত বোধ হয় না । মোটর উপর এ গ্রন্থখানি রচিত ও প্রকাশিত হইলে দেশের একটি মহৎ অভাব দূর হইবে । ইতি ২২শে বৈশাখ ১৩১৮ उौिष्यः ঐরবীন্দ্রনাথ