পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুঞ্জলালকে লেখা রবীন্দ্রনাথের চিঠি মাত্র একখানিই পাওয়া গিয়েছে। শাস্তিনিকেতন বিদ্যালয়ের ইতিহাস-আলোচনায় ২৭ কার্তিক ১৩০৯ বঙ্গাব্দে রচিত রবীন্দ্রনাথের এই চিঠিখানির বিশেষ গুরুত্ব আছে । কুঞ্জলাল অল্পকালই এই বিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন । অল্পমান করা যায় কোনো কারণে র্তার কাজে রবীন্দ্রনাথ অসন্তুষ্ট হন । বিদ্যালয় থেকে কুঞ্চলালের বিদায়গ্রহণপ্রসঙ্গে মোহিতচন্দ্র সেন ১ • জুলাই [ ১৯•৩ ] তারিখে রবীন্দ্রনাথকে লিখছেন, "কুঞ্জবাবুকে বিদায়পত্র দিয়াছেন শুনিয়া দুঃখিত এবং আশ্বস্ত দুই হইলাম। আমাদের এ সাধনায় ‘গড়িতে ভাঙ্গিয়া গেল বারবার' । সেইজন্তে দুঃখ । যা হোক কুৰুবাবু শ্রাবণের আরম্ভেই যাবেন এটা স্বখবর । ভেঙ্গে যখন গেল তখন জীর্ণ রাবিস যতশীঘ্র স্থানান্তরিত হয় ততই ভাল ।" ২৪ জুলাই শুক্রবার [ ১৯•৩ ] মোহিতচন্দ্র আর-একটি চিঠিতে রবীন্দ্রনাথকে লিখছেন, “রমণীবাবুর কাছে শুনলাম যে যদুৰাৰু কুরবাবুকে বোলপুরে বিদায় দেবার সময় শ্রাবণের মাহিনী ও furniture বাৰদে ৮০, অতিরিক্ত দিবেন বলিয়াছেন ।..." কুঞ্জলাল ঘোষ ১৩১৭ বঙ্গাব্দের শ্রাবণমাসের শুরুতেই বিদ্যালয় ত্যাগ করেন । কুঞ্জলাল ঘোষকে ২৭ কীর্তিক ১৩১৯ বঙ্গাব্দে কলকাতা থেকে লেখা কুড়ি পৃষ্ঠাব্যাপী এই চিঠিখানির বিষয়ে মনোরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়কে রবীন্দ্রনাথ একটি চিঠিতে জানিয়েছিলেন, “ৰিদ্যালয়ের উদ্দেশু ও কার্য প্রণালী সম্বন্ধে আমি বিস্তারিতভাবে ইহাকে লিখিয়াছিলাম । এহ লেখা আপনারা ও পড়িয়া দেখিবেন— যাহাতে তদনুসারে ইনি চলিতে পারেন আপনারা ইহাকে সেইরূপ সাহায্য করিতে পারেন ।" শান্তিনিকেতন ব্রহ্মচর্যাশ্ৰম' ( প্রকাশ ৭ই পেীৰ ১৩৫৮) গ্রন্থে কুঞ্জলালকে \○88