পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• আমাদের জমিদারীর মধ্যে একটা কাজ পত্তন করে এসেছি । বিরাহিমপুর পরগণাকে পাচটা মণ্ডলে ভাগ করে প্রত্যেক মণ্ডলে একজন অধ্যক্ষ বসিয়ে এসেচি । এই অধ্যক্ষেরা সেখানে পল্লীসমাজ স্থাপনে নিযুক্ত। যাতে গ্রামের লোকে নিজেদের হিতসাধনে সচেষ্ট হয়ে ওঠে— পথ ঘাট সংস্কার করে, জলকষ্ট দূর করে, শালিসের বিচারে বিবাদ নিম্পত্তি করে, বিদ্যালয় স্থাপন করে, জঙ্গল পরিষ্কার করে, তুর্ভিক্ষের জন্য ধৰ্ম্মগোল। বসায় ইত্যাদি সৰ্ব্বপ্রকারে গ্রাম্যসমাজের হিতে নিজের চেষ্টা নিয়োগ করতে উৎসাহিত হয় তারই ব্যবস্থা করা গিয়েছে । আমার প্রজাদের মধ্যে যারা মুসলমান তাদের মধ্যে বেশ কাজ অগ্রসর হচ্চে– হিন্দুপল্লীতে বাধার অস্ত নেই। হিন্দুধৰ্ম্ম হিন্দু সমাজের মূলেই এমন একটা গভীর ব্যাঘাত রয়েচে যাতে করে সমবেত লোকহিতের চেষ্টা আস্তর থেকে বাধা পেতে থাকে । এই সমস্ত প্রত্যক্ষ দেখে হিন্দুসমাজ প্রভৃতি সম্বন্ধে idealize করে কোনো আত্মঘাতী শ্ৰুতিমধুর মিথ্যাকে প্রশ্রয় দিতে আর আমার ইচ্ছাই হয় না । যাই হোক একদিকে বোলপুর বিদ্যালয়ে ভদ্রলোকের ছেলেদের কিছু পরিমাণে অভদ্র এবং অভদ্রলোকের ছেলেদের কিছু পরিমাণে ভদ্র করে উভয় শ্রেণীর বিচ্ছেদ দূর করবার চেষ্টা করচি । , এমন সময়ে আপনি আমাকে আহবান করেচেন । এ আহবানে আমার অন্তঃকরণ ব্যাকুল ভাবেই সাড়া দিচ্চে কিন্তু নিশ্চয়ই জানবেন আমার ক্ষমতা নেই যে আমি অস্ত কাউকে ግ )