পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর করব না তাই নিশ্চিন্ত হয়ে আছি । বিদ্যালয়টি বেশ পূর্ণ হয়ে এসেছে । ক্রমে এর পাশে একটি বালিকা বিদ্যালয়ের ছোট্ট চারা আপনিই গজিয়ে উঠেছে এবং হু হু করে সেটি বেড়ে ওঠবার মতলব করচে । অনেকদিন থেকে মনে ইচ্ছা ছিল কিন্তু ভয়ে এগই নি— ঠাকুর যখন আপনিই ঘরে এসেছেন পূজা না করে ত আর নিস্কৃতি নেই। আজ বর্ষশেষ— কাল এখানে নৰবর্ষের উৎসব হবে । প্রার্থনা করি যে নববর্ষ কেবল পঞ্জিকার প্রথম পাতে দেখা না দিয়ে যেন জীবনের মধ্যে আবিভূত হয় । আর কোনো সার্থকতা চাইনে। নূতন জীবন চাই । পুরাতনের যত ভয় লজ্জা হঃখের জের যেন আর না টেনে আনতে হয়— একেবারে সব সাফ করে দিয়ে বড় রাস্তায় যেন বেরিয়ে পড়তে পারি। আর সমস্তেরই মৃত্যু আছে কেবল আবর্জনারই কি মৃত্যু নেই নাকি ? নববর্ষ আপনার জন্ত পরিপূর্ণ কল্যাণের ভার অঞ্চলের মধ্যে প্রচ্ছন্ন করে নিয়ে আমুক এই প্রার্থনা করি । অর্থাৎ যাই নিয়ে আস্থক মুখই হউক ছঃখই হউক আপনি তাকে অপরাজিত চিত্তে গ্রহণ করবার শক্তি লাভ করুন । আপনি আমার বইগুলি পাচ্ছেন কিনা খবর দেন না কেন ? প্রকাশকরা যদি ফাকি দেয় আমার ত জানবার কোনো উপায় নেই। গদ্যগ্রন্থাবলী সবগুলি এবং “শাস্তিনিকেতন” পাচ্ছেন ত ? ইতি ৩১শে চৈত্র ১৩১৫ ভবদীয় জীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর