বলিয়া বিনোদিনীর রহস্যনিকেতনে আপনাকে অকালে প্রবেশ করিতে দেওয়া আমার সম্পাদকধর্ম্মসঙ্গত হইবে কিনা তাহা এখনো স্থির করিয়া উঠিতে পারিতেছি না।
যাহা হউক্ আর বিলম্ব করিবেন না।— পুঁথিপত্রসহ লুপমেলের গাড়ীতে চড়িয়া বলুন তাহার পরে আর আপনাকে কে নিবারণ করিতে পারে? ইতি ১৩ই বৈশাখ ১৩০৯।
শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৬
[মে ১৯০২]
ওঁ
প্রিয়বরেষু
আপনার চিঠি পাইয়া আনন্দিত হইলাম এখন সাক্ষাৎকারের আনন্দ প্রত্যাশা করিয়া আছি। আমার পিতৃদেবের জন্মোৎসব উপলক্ষ্যে আমাকে ১লা জ্যৈষ্ঠ নাগাদ একবার কলিকাতায় যাইতে হইবে। ফিরিবার সময় আপনাকে সবলে আকর্ষণ করিয়া আনিলে কিরূপ হয়? আপনার ছেলেটিকে সস্নেহে গ্রহণ ও সযত্নে শিক্ষাদান করিব সে সম্বন্ধে আপনি চিন্তা করিবেন না— পনেরো দিনের মধ্যেই সে এখানে এমনি জমিয়া যাইবে যে বাড়ি যাইবার নাম করিবে না। এখান হইতে যে সকল ছাত্র ঘরে ফেরে তাহারা অশ্রুজল না ফেলিয়া যায় না। পত্রে আপনি যে কথার আভাসমাত্র দিয়া চুপ করিয়াছেন সে কথাটা আমার গোচর হইয়াছে। লেখাটি আমি পড়ি নাই— আমার দৃষ্টিপথে আনিতে নিষেধও করিয়াছি, কারণ, লেখকজাতির
৬