১৫
পত্রে দীনেশচন্দ্র সেন -প্রণীত ‘রামায়ণী কথা’র আলোচনা করা হইয়াছে।
“কিছুকাল হইতে অনুরোধ আসিতেছে বন্ধু দীনেশচন্দ্র সেনের নিকট হইতে, তাঁহার ‘রামায়ণী কথা’র ভূমিকার জন্য। দীনেশচন্দ্র রামায়ণের অনেকগুলি চরিত্র বিশ্লেষণ করিয়া বঙ্গদর্শনে (১৩১০) প্রকাশ করিয়াছিলেন; সেগুলি এখন গ্রন্থাকারে মুদ্রিত হইতেছে; তজ্জন্য একটি ভূমিকার প্রয়োজন।”
এ সম্বন্ধে দীনেশচন্দ্র লিখিয়াছেন—
“রবীন্দ্রবাবু··· রামায়ণী কথার শুধু ভূমিকা নহে তাহার প্রত্যেকটি চরিত্র সম্বন্ধে এরূপ সকল মন্তব্য লিখিয়াছিলেন, যাহাতে গ্রন্থকার অত্যন্ত উপকৃত এবং উৎসাহিত হইয়াছিলেন।”
১৬
পত্রে ‘রামায়ণী কথা’র ভূমিকার কথা বলা হইয়াছে। এই ভূমিকার কথা পরবর্তী পত্রেও উল্লেখিত। ভূমিকাটি ‘রামায়ণ’ শীর্ষক প্রবন্ধ রূপে ‘প্রাচীন সাহিত্য’ গ্রন্থে সংকলিত।
“আপনার মাথার অসুখ”: ১৮৯৬ সনে কুমিল্লায় অবস্থান কালে দীনেশচন্দ্র উৎকট শিরঃপীড়ায় আক্রান্ত হন। এই রোগভোগ দীর্ঘকাল চলে।
১৭
গ্রন্থাবলী: কাব্যগ্রন্থ [১৯০৩-১৯০৪]। ইহা রবীন্দ্রনাথের দ্বিতীয় কাব্যসংগ্রহ। মোহিতচন্দ্র সেনকে এক পত্রে লিখিতেছেন— “গ্রন্থাবলী নূতন আকারে বাহির করিবার জন্য অন্তরের মধ্যে জানি না কেন তাড়া আসিতেছে। তাহা ছাপাখানায় পাঠাইয়াছি।”
রবীন্দ্রনাথের প্রথম কাব্যসংগ্রহ— ‘ক্লাব্যগ্রন্থাবলী’ সত্যপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায় ১৩০৩ সালে প্রকাশ করেন।
১৮
রামায়ণের ভূমিকা: রামায়ণী কথার ভূমিকা।
৮৪