পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিকটের ব্যাপার সম্বন্ধে অনেক সময়ে ক্ষিপ্রহস্তে কৰ্ত্তব্যবুদ্ধি চালনার আশু প্রয়োজন ঘটে— সে অবস্থায় মানুষের ক্ষোভের মাত্রাও বেশি হয় । সে অবস্থায় মান্ত ব্যক্তিকে বা বন্ধুকেও বিনা বিচারে বা স্বল্প প্রমাণে কঠিন কথা বলা সম্ভবপর হয । সেই কারণে যদুনাথ সরকার মশায়ের পত্র নিয়ে আপনার ইংরেজি বা বাংলা বা উভয় কাগজেই যদি অপ্রিয় আলোচনা ও হত তাহলে সেটা আক্ষেপের বিষয় হলেও বিস্ময়ের বিষয় হ’ত না । কিন্তু দূরের ব্যাপার সম্বন্ধে কৰ্ত্তব্যবুদ্ধির অসংযত উত্তেজন স্বাভাবিক নয় বলেই অন্তত মান্ত বা বন্ধুবাক্তির প্রতি আমরা ধৈর্য্য প্রত্যাশা করি । তার ব্যতিক্রম ঘটলে সেটা অশোভন হয় । - ব সঙ্গে আমার নিকট পরিচয় হয় নি ; তার সঙ্গে সম্বন্ধ আপনাব সম্বন্ধ অমুসরণ ক’রেই । কিন্তু ... আত্মীয়ের মত নিকটে এসেছিল । . . . আমার কাছ থেকে অজস্র স্নেহ পেয়েছে । মডারন রিভিয়ুতে ও তার পনেরো দিন পরে প্রবাসীতে সৰ্ব্বজনগোচর যে অবমাননা আমার বিরুদ্ধে প্রকাশ করা হয়েছে তারা যে তা স্বীকার করে নিতে পারলে এটাই সব চেয়ে আমাকে বেদন দিয়েছে । অবশ্য কৰ্ত্তব্যের দাবী আত্মীয়তার দাবীর চেয়ে বেশি । কিন্তু এ ক্ষেত্রে সেই দাবী কি এত অত্যন্ত বেশি ছিল যে, ভাষায় অপরাধীর প্রতি সামান্য সৌজন্ত্যেরও সংযম রক্ষা করা অসাধ্য হয়েছিল । আপনি Forwardএর পারাগ্রাফের উল্লেখ করেছেন । সুধীন্দ্র বসুর প্রেরিত সংবাদমালার পরে সে প্যারাগ্রাফ গ্রথিত । >\°