পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মের রচনা সেই একই পথে চলে। পৃথিবীতে ইতিহাস স্থষ্টি করা এই বিধানেই হয়, ইতিহাস সঙ্কলন করা সম্পূর্ণ অন্ত বিধানে । পণ্ডিত সরকার মশায় বলেন, আত্ম-অগোচর অনুকরণের পথ বেয়ে আমি কিছু উপনিষদ কিছু খৃষ্টানী মিলিয়ে একটা জোড়াতাড়া বিদ্যায়তন তৈরি করেছি। আমি যা করেছি তা বর্তমান যুগেই আছে, সে আওরঞ্জেবের যুগে নয়, অতএব সশরীরে এসে স্বচক্ষে দেখে আটায় অঁাটা বা পেরেক-ঠোকা জোড়গুলো যদি স্পষ্ট করে দেখিয়ে দিতে পারেন তাহলে কথাটা নিয়ে যথার্থভাবে আলোচনা করা চলে । তিনি আমার অনুষ্ঠিত কৰ্ম্মকে এক কাল্পনিক পঞ্চদশ শতাব্দীর শিখরে চড়িয়ে দিয়ে তার ঐতিহাসিক দূরবীন কষে একটা আভাস এদিক থেকে একটা আভাস ওদিক থেকে নিয়ে একটা টুকরোজোড়া ছবি একেচেন । বহুকাল পূৰ্ব্বে এক সময়ে সরকার মশায় দয়া করে আমার বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতেন । সেটা বিদ্যালয়ের প্রায় আরম্ভকালে । তার পর অতি দীর্ঘকাল এখানে একবারো আসেন নি । এর মধ্যে এখানকার কৰ্ম্মে আমার মনস্তত্ত্ব যে ভাবে নিযুক্ত আছে সেটা তার সুদূরস্থিত মনোভাবের মধ্যে অকস্মাং যে একটা থিয়োরি জাগিয়ে তুলেচে, সেটা সাইকোএনালিসিসের স্বপ্নবিশ্লেষণের বিষয় হতে পারে কিন্তু সেটা বৰ্ত্তমানের ইতিহাস রচনায় সম্পূর্ণ অগ্রাহ । যারা জোড়া-দেওয়া প্রণালীতে প্রত্নতত্ত্ব আলোচনা করেন, অামার 9אג כ