পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কত কদাচার মধ্যযুগের ইতিহাস থেকে তার তালিকা স্তৃপাকার করে তোলা যায়— এ সমস্ত দূর হল কি করে ? বাইরেকার কোনো কোর্ট অফ ওয়ার্ডসের হাতে ওদের অক্ষমতার সংস্কার সাধনের ভার দেওয়া হয় নি, একটিমাত্র শক্তি ওদের এগিয়ে দিয়েচে, সে হচ্চে ওদের শিক্ষা । জাপান এই শিক্ষার যোগেই অল্পকালের মধ্যেই দেশের রাষ্ট্রশক্তিকে সৰ্ব্বসাধারণের ইচ্ছা ও চেষ্টার সঙ্গে যুক্ত করে দিয়েচে, দেশের অর্থ উৎপাদনের শক্তিকে বহু গুণে বাড়িয়ে তুলেচে, বৰ্ত্তমান তুরুষ্ক প্রবলবেগে এই শিক্ষা অগ্রসর করে দিয়ে ধৰ্ম্মান্ধতার প্রবল বোঝা থেকে দেশকে মুক্ত কববাব পথে চলেছে। “ভারত শুধুই ঘুমায়ে রয়।” কেন না ঘরে আলো আসতে দেওয়া হয় নি,— যে আলোতে আজকেব পুথিবী জেগে, সেই শিক্ষার আলো ভাবতের বন্ধ দ্বালের বাইরে । রুশিয়ায় যখন যাত্রা করলুম খুব বেশি আশা করি নি । কেন ন কতটা সাধা এবং অসাধা তার আদর্শ ব্রিটিশ ভারতবর্ষ থেকেই আমি পেয়েচি। ভারতের উন্নতি সাধনেব দুরূহত যে কত বেশি সে কথা স্বয়ং খুষ্টান পাদ্রি টমসন অতি কৰুণ স্বরে সমস্ত পুথিবীর কাছে জানিয়েছেন । আমাকে ও মানতে হয়েচে দুরূহতা আছে বই কি, নইলে আমাদের এমন দশ হবেই বা কেন ? একটা কথা আমার জানা ছিল, রাশিয়ার প্রজাসাধারণের উন্নতিবিধান ভারতবর্ষের চেয়ে বেশি দুরূহ বই কম নয় । প্রথমত এখানকার সমাজে যারা ভদ্রেতর শ্রেণীতে ছিল আমাদের দেশের সেই শ্রেণীয় লোকের মতোই তাদের A Obr