পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আজ আপন অর্থব্যবস্থা ও সমাজব্যবস্থা একেবারে মূলের থেকে পরখ করে দেখতে প্রবৃত্ত। যখন মানুষের ছিল সম্পন্ন অবস্থা, তার ভোগের অধিকার ছিল ব্যাপক, তখন পুরাতন নিয়মকে নাড়া দিতে তার ভয় ছিল, পাছে কোনো জায়গায় তার আরামে তার ঐশ্বর্য্যে ভাঙন লাগে— আজি সেই ভয়ের দশ গেছে— যার যার পুরোনো আশ্রয়ের জীর্ণ ভিত্তি থেকে সবাই বেরিয়ে পড়চে । নূতন করে পরীক্ষা করবার ভয় আর রইল না কারো । যুরোপে যে তোলাপাড়া চলচে সে স্বভাবের নিয়মে, বহু লোককে নিয়ে— কেবল বইপড়া কয়েকজন চষমাপরা লেখক পাঠকের সৌখীন বিচার নিয়ে নয় । ভীষণ তাদের আগ্রহ, রুশিয়ার দিকে তাকালেই তা দেখা যায়। এই আগ্রহ সম্ভবপর হোতো না যদি নূতন অবস্থায় মানুষের কাছে একান্তভাবে ধরা না পড়ে থাকে যে, যে-সব বাধন একদা ছিল স্থিতির অনুকূলে, আজ তাতে স্থিতির সহায়তা আর করচে না কেবল তা বন্ধনরূপেই আছে । বলা বাহুল্য সেখানেও সনাতনী আছে মানব স্বভাবে । সেও রীতিমাত্রকেই পবিত্র প্রত্যাদেশ বলে মানে । তাদেরকেও সমাজে প্রয়োজন আছে । পরখ করবার দিনে তাদের বিরুদ্ধতাও সত্যের পরিচয়ে সহায়তা করে । আজ যুগান্তরের দিনে আমরা বইপড়া পণ্ডিতরা অপেক্ষাকৃত দূরে আছি। জিনিষটাকে কেউ বা দেখচি বন্ধমুক্ত প্রবৃত্তির দিক থেকে, কেউ বা অন্ধদৃষ্টি সনাতনের মোহের থেকে । আমার মন বলচে, নিশ্চিত জানি নে মানুষ কী 889ર