পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করব, আমার সেটা ভালো লাগে নি। তার কারণ, যেমন খিলাফতের লক্ষ্য ভারতবর্ষের বাইরে, অসহযোগের লক্ষ্য প্রায় তাই । ইংরেজরাজের সঙ্গে কোমর বেঁধে সহযোগই চালাই বা অসহযোগই জাগাই, তাতে আমাদের সাধনা কেন্দ্ৰভ্ৰষ্ট হয়। ওটা কলহমাত্র, সেই কলহের পরিণামে সার্থকতা নেই । মহাত্মাজি দেশের লোকের মনে যে প্রভাব বিস্তার করেছিলেন, অ : বড়ো প্রভাব অপর পক্ষকে তারস্বরে অস্বীকার করবার নঙথক উদেশে খরচ হয়ে যাচ্চে, এই কথা কল্পনা করে আমার মন পীড়িত হয়েছিল । সেদিন আমার মনে এই একাস্ত কামনা জাগছিল যে মহাত্মাজি নিজের চারদিকে দেশের বিচিত্র শক্তিকে আহবান কববেন দেশের বিচিত্র সেবার কাজে । কাৰণ, দেশের শিক্ষ। স্বাস্থা পূৰ্ত্তকাৰ্য্য বাণিজ্য— এই কৰ্ত্তব্যগুলিকে প্রবল বলে অকৃত্রিম নিষ্ঠার সঙ্গে চালনা করাই যথার্থ দেশকে লাভ করা, জয় কর । সকলে মিলে কেবল চরকায় স্থলে কাটায় দেশচিত্তের সম্পূর্ণ উদ্বোধন হতে পারেই না । ক্তানি এই সংকল্পে বাধার সম্ভাবনা যথেষ্ট ছিল – তখন সেই বাধার সঙ্গে সংগ্রাম করা সার্থক হোতো । এত দিন ধরে স: গ্রাম তো যথেষ্টই হোলো, দুঃখের তো অস্ত নেই। তার পৰিবৰ্ত্তে আজ রক্তহীন সাদা কাগজ পাওয়া গেল । সেই কাগজে শূন্তত যথেষ্ট কিন্তু রচনা কতটুকু ? সেই সময়ে আমি জগদানন্দকে যে চিঠি লিখেছিলুম আমাদের কোনো প্রাক্তন ছাত্র সেটি কপি করে রেখেছিল। আজ দৈবাৎ সেই কপি আমার হাতে পড়েছে। লেখাটি ר על צ