পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○8曲 ১৮ জুন ১৯৩৮ প্রীতিনমস্কারসম্ভাষণ শরীরে মনে শক্তির উদ্ধৃবৃত্ত দিনে দিনেই ক্ষয় হয়ে আসচে– এই জন্তে দিনকৃত্যের বাইরে এমন কোনো কাজ করতে উৎসাহ পাই নে যা আমার অভ্যস্ত পথের বাইরে পড়ে । অামার মনে ইংরেজি ভাষার শিকড় শিথিল হয়ে গেছে, বাংলা রচনার রাস্তাতেও রথের চাকা বারবার বেধে যায় । ক্লাস্ত মনকে তাড়া লাগালে হয়তো কাজ চালাবার মতো খানিকটা পথ এগোতে পারে কিন্তু অত্যন্ত বেশি আপত্তি করে – কোনদিন ধর্মঘট করে বসে এ আশঙ্কা করি । কিছুদিন পূর্বেও আমি জরাকে বিশ্বাস করতুম না, অপটুতার একটু আভাস পেলে অসহিষ্ণু হয়ে উঠতুম। এখন শেষ বয়সের ডিক্টেটরের শাসন মানতে বাধ্য হয়েছি— হাতখরচের মতো সামান্ত কিছু রেখে আমার তহবিলে সে শিলমোহর এ টে দিচ্চে— অত্যাচারটা স্বীকার করতে লজ্জা হয় বলেই কলম চালাতে যাই কিন্তু স্পি ংহীন চাকার মতো তার আর্তনাদ উঠতে থাকে। এখানে শরীর কিছু ভালো হয়েচে কিন্তু প্রাণের উদ্যম এখনো অজয় নদের মতো তটের তলায় তলিয়ে আছে– বর্ষায় ধারায় কিছু স্রোত বাড়ে কিন্তু পণ্য চালাবার মতো নয়। 2 Φύν