পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হয়েছিল প্রাচ্য দেশের এই কবির অভ্যর্থনার ভূমিকা ছিল তাই, তাতে সন্দেহ নেই। কারণ যাই হোক ঘটনাট ছিল অচিন্তনীয় সুতরাং নিজের মুখে তার আভাসমাত্র দেওয়া অত্যন্ত সংকোচজনক। এই আশ্চর্য ইতিহাসটিকে লিপিবদ্ধ করবার জন্ত্যে বাইরের সাক্ষ্যের প্রয়োজন আছে। মনে আছে এই সময় কৌতুহলবশত লড সিংহ একবার আমার সঙ্গ নিয়েছিলেন, জানি তিনি বলেছিলেন যদি তার এ রকম প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা না ঘটত তাহলে সমস্ত ব্যাপারটাকে তিনি বিশ্বাস করতে পারতেন না । তুর্ভাগ্যক্রমে সেই সময় রথীন্দ্রনাথ বার্লিনে আরোগ্যশালায় শয্যাগত ছিলেন তাই এত বড় তুর্লভ অভিজ্ঞতার সুযোগ থেকে চিরদিনের জন্য বঞ্চিত হয়ে রইলেন । এ দুঃখ আমি কখনো ভুলতে পারব না। আর আমার অন্ত স্বদেশ-বাসী র্যার সঙ্গে ছিলেন একমাত্র যারাই সাক্ষা দিতে পারতেন র্তারা তখনো নীরব ছিলেন এবং এখনো নীরব আছেন । এমন কি আমার সঙ্গে থাকায় তারাও উন্মুক্ত হৃদয়ের যে অভ্যর্থনা যুরোপের সর্বত্র লাভ করেছিলেন তাও আর কোনো ভারতবাসী এত অন্তরঙ্গভাবে [লাভ] করতে পারে নি। আমি কখনো তাদের মুখ খোলবার জন্তে কিছুমাত্র তাগিদ করিনি এবং সাক্ষ্য সমর্থনের অভাবের মধ্যে চুপ করে থাকাই বরাবর শোভন মনে করেছি। এই রকম নীরবতার জন্তে কাউকে দোষ দেওয়া যায় না কারণ সেদিন আমার যাত্রাপথে পদে পদে যে প্রবল উত্তেজনা জাগ্রত হয়ে উঠছিল তার মধ্যে সমগ্র ૨૦ 8