পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এক মেরু থেকে আর এক মেরুতে চালান করে দেওয়া হয়েচে । ১৬১ পৃষ্ঠার প্রথম স্তম্ভের এক জায়গায় হওয়া উচিত ছিল “সেই বিশেষ রকম করে দেখাশোনা জানার সুযোগ আমার ও আমার প্রিয়জনের দেহমনের বিশেষ বিশেষ প্রকৃতির উপরই নির্ভর করে সেই প্রকৃতির পরিবর্তন হলে সেই অভিজ্ঞতার মুখ থাকে না।” চিহ্নিত অংশটি লুপ্ত হওয়াতে তাৎপৰ্য্যটা কিছু ক্ষুণ্ণ হয়েচে, এই সমস্ত বাক্যবিকারে তোমাদের কোনো দোষ নেই— এ সমস্ত এখানকার লিপিকারের স্বরচিত। যা হোক ভাবী কালে একবার আমার লেখার প্রফ আমার হাত দিয়ে গেলে রচনা হয়তো নিরাপদ হতে পারে— আমি যে খুব পয়লা নম্বরের প্রািফ-দেখিয়ে এমন অহঙ্কার নেই– তবে কিনা স্বকৃত পাপের জন্ত্যে স্বয়ং শাস্তি পাওয়ার মধ্যে একট। নৈতিক তত্ত্ব পাওয়া যায়— প্রাফ দেখা ব্যাপারে পরকীয় পাপের সমস্ত শাস্তিই নিজেকেই পেতে হয় অপরাধকারার গায়ে আঁচড় মাত্র লাগে না । বিশ্ববিধানে প্রফ দেখা ব্যাপারে স্যায়নীতির একটা মূলগত ব্যত্যয় আছে একথা অতি বড় আস্তিককেও মানতে হবে। যদি বলে। এতে লেখকের ধৈর্য্যচর্চার সহায়তা করে আজ পর্য্যন্ত তার প্রমাণ পাই নি— বরঞ্চ প্রত্যেকবারের আঘাতেই অধৈয্যের পরিমাণ বাড়ে বই কমে না। আজ এই পর্য্যস্ত । ইতি ১ অগ্রহায়ণ ১৩৩৪ তোমাদের শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ૨૯ જે