পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিঠি ইতিমধ্যে পাইয়াছি। বেশ বুঝা যাইতেছে আমাদের রাজকীয় শনির সন্দেহদৃষ্টি ইতিমধ্যে আমার প্রতি তীক্ষভাবে পড়িতেছে । চাণক্য রাজাকে বিশ্বাস করিতে বারণ করিয়াছেন বেশ দেখা যাইতেছে রাজায় প্রজায় বিশ্বাসের সম্বন্ধটা রাখিবার আশা করাই তুরাশ । অামাদের বিদ্যালয়ের পরেও এতদিন পরে গোপনে রাজদণ্ডপাত হইয়াছে। হঠাৎ পূর্ববঙ্গের রাজকৰ্ম্মচারীদের ছেলেরা বিদ্যালয় হইতে সরিতে আরম্ভ করিতেছে । এমন কি, টেলিগ্রাফযোগে তাহাদিগকে সরানো হইতেছে । আমাদের শান্তিনিকেতন আশ্রমের উদ্দেশ্যের প্রতিই একান্তভাবে লক্ষা রাখিয়া আমি ঘোরতর উত্তেজনার সময়ে ও বিদ্যালয়ে কোনোপ্রকার অশান্তিকর আলোচনা ঘটিতে দিই না । বস্তুত আমি ছাত্রদের মন সেদিক হইতে একেবারে ফিরাইয়া দিয়াছি— সেজন্তা অামাকে নিন্দা সহ্য করিতে হইয়াছে । কিন্তু ইহা স্পষ্ট দেখা যাইতেছে ধৰ্ম্মপ্রচার হউক অথবা অন্য যে কোনো হিতকৰ্ম্মই হউকু— কোনো কিছু গড়িয়া তুলিতে গেলেই দেশের রাজার নিকট হইতে বাধা পাইতে হইবে । এ সম্বন্ধে মুখামুখি একটা বোঝাপড়ায় নামা যাইবে সে রাস্তাও বন্ধ— মেঘনাদের মত মেঘের মধ্যে অদৃশ্ব থাকিয়া যখন রাজশক্তি অস্ত্রপাত করে তখন তাহার জবাব দিবার ও যো নাই নিজেকে বাচাইবারও পথ বন্ধ । এইপ্রকার ভীরু প্রণালীতে প্রজাদের সমস্ত হিতচেষ্টাকে দলন করিবার উদ্যোগের মত এমন হীনতা এবং দীনতা কি আছে । ইহাতে যে প্রজাকে শাসন করা হইতেছে রাজা তাহার চেয়েও 3 &