পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাগজে গোলমাল চলছিল, ভরসা করি অরুণ তার মধ্যে জড়িয়ে পড়ে নি। ইতি ১১ কাত্তিক ১৩২৫ তোমাদের শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ২৯ অক্টোবর ১৯১৯ Shillong কল্যাণীয়েযু এখন ছুটি । তাই শিলঙ পাহাড়ে বিশ্রাম অনুসন্ধানে এসেছি। কিন্তু একাদশীর দিনে কেউ কেউ যেমন ভাত খায় না বলেই গুরুপাক সামগ্ৰী বিস্তর খেয়ে বসে, অামার ছুটিও সেই রকমের । নিয়মিত কাজ বন্ধ থাকে বলেই অনিয়মিত কাজের চাপ অপরিমিত হয়ে পড়ে । মাঝে মাঝে একটু আধটু সেখীন ধরণের যে বাংলা লেখা চলছিল তাকে আমি ডরাইনে কিন্তু ইংরেজি ভাষায় আনমনে লেখা চলে না । মোটর গাড়ির রাস্তা বেয়ে জামাইষষ্ঠীর নিমন্ত্রণে যাবার সময় শ্বশুরবাড়ির মুখস্মৃতিতে যেমন মন উতলা করলে চলে না, সৰ্ব্বদাই হাওয়াগাড়ির শিঙে ফোকার প্রতিই কান রাখতে হয় তেমনি ইংরেজি লেখবার সময় কলমটাকে বেশ আরামে পায়চারি করাবার জো নেই—সৰ্ব্বদাই মাষ্টার মশায়ের হুঙ কারের প্রতি কান পেতে থাকৃতে হয়। এই ভূমিকার থেকে বুঝবে ছুটির কাটা দিন ইংরেজি লিখে কাটাচ্চি—সুতরাং ३ १२