পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আজ যেখানে ইস্কুলের মোটা থাম উঠেচে সেখানে যখন ঘাসের ফুলে ফুলে প্রজাপতি উড়ে উড়ে বেড়াচ্চে । যাইহোক, এই সময়টাতে ঘন মেঘে মধ্যাহ ছায়াবৃত, মাঠে মাঠে বাদল হাওয়া ভেঁপু বাজিয়ে চলেচে, আর ছোট ছোট চঞ্চল জলধারা ইস্কুলছাড়া ছাত্রীদের অকারণ হাসির মত চারদিকে খিলখিল করচে । আজ ৭ই আষাঢ় কৃষ্ণা একাদশী তিথি, আজ অম্বুবাচী আরম্ভ হল। নামটা সার্থক হয়েচে, সমস্ত প্রকৃতি আজ জলের ভাষায় মুখর হয়ে উঠল। ঘন মেঘের চন্দ্রাতপের ছায়ায় আজ অম্বুবাচীর গীতিকবিতার আসর বসেচে– তৃণসভার গায়েনের দল ঝিল্লিরাও নিমন্ত্রণ পেয়েচে, আর তার সঙ্গে যোগ দিয়েচে “মত্ত দাতুরী।” এ আসরে আমার আসন পড়ে নি যে তা মনেও কোরো না । মেঘের ডাকের জবাব না দিয়ে চুপ করে যাব, আমি এমন পাত্র নই। মেঘের পর মেঘের মত আমারো গান চলেচে দিনের পর দিন— তার কোনো গুরুত্ব নেই, কোনো উদ্দেশ্য নেই– মেঘ যেমন “ধূমজ্যোতিঃ সলিলমরুতাং সন্নিপতিঃ” সেও তেমনি নিরর্থক উপাদানে তৈরি । ঠিক যখন আমার জানলার ধারে বসে গুঞ্জন ধ্বনিতে গান ধরেচি– অাজ নবীন মেঘের মুর লেগেচে আমার মনে, আমার ভাবনা যত উতল হ’ল অকারণে— ঠিক এমন সময়ে সমুদ্রপার হতে তোমার প্রশ্ন এল, ভারতবর্ষে হিন্দু মুসলমান সমস্তার সমাধান কি ? হঠাৎ মনে পড়ে গেল ३b^{}