পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হওয়াতে তার বেড়া আরও কঠিন । মুসলমানধর্ম স্বীকার করে মুসলমানের সঙ্গে সমানভাবে মেলা যায়, হিন্দুর সে পথও অতিশয় সঙ্কীর্ণ। আহারে ব্যবহারে মুসলমান অপর সম্প্রদায়কে নিষেধের দ্বারা প্রত্যাখ্যান করে না, হিন্দু সেখানেও সতর্ক । তাই খিলাফৎ উপলক্ষ্যে মুসলমান নিজের মসজিদে এবং অন্যত্র হিন্দুকে যত কাছে টেনেচে হিন্দু মুসলমানকে তত কাছে টানতে পারে নি। আচার হচ্ছে মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্বন্ধের সেতু, সেইখানেই পদে পদে হিন্দু নিজের বেড়া তুলে রেখেচে । আমি যখন প্রথম আমার জমিদারী-কাজে প্রবৃত্ত হয়েছিলুম তখন দেখেছিলুম, কাছারিতে মুসলমান প্রজাকে বসতে দিতে হলে জাজিমের একপ্রাস্ত তুলে দিয়ে সেইখানে তাকে স্থান দেওয়া হত । অন্ত আচার অবলম্বীদের অশুচি বলে’ গণ্য করার মত মানুষের সঙ্গে মানুষের মিলনের এমন ভীষণ বাধা আর কিছু নেই – ভারতবর্ষের এমনি কপাল যে, এখানে হিন্দু মুসলমানের মত দুই জাত, একত্র হয়েছে – ধর্মমতে হিন্দুর বাধা প্রবল নয় আচারে প্রবল,— আচারে মুসলমানের বাধা প্রবল নয়, ধর্মমতে প্রবল,— এক পক্ষের যেদিকে দ্বার খোলা, অন্ত পক্ষের সেদিকে দ্বার রুদ্ধ। এ’রা কি করে মিলবে ? এক সময়ে ভারতবর্ষে গ্রীক পারসিক শক নানা জাতির অবাধ সমাগম ও সম্মিলন ছিল । কিন্তু মনে রেখে সে “হিন্দু যুগের পূর্ববর্তীকালে । হিন্দুযুগ হচ্চে একটা প্রতিক্রিয়ার যুগ,– এই যুগে ব্রাহ্মণ্যধর্মকে সচেষ্টভাবে পাকা করে গাথা হয়েছিল । তুর্লঙ্ঘ্য আচারের প্রাকার তুলে একে &b"