পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূপ্রবেশ করে তোলা হয়েছিল। একটা কথা মনে ছিল না কোনো প্রাণবান জিনিষকে একেবারে আটঘাট বন্ধ করে সাম্লাতে গেলে তাকে মেরে ফেলা হয়। যাই হোকু মোট কথা হচ্চে, বিশেষ একসময়ে বৌদ্ধযুগের পরে রাজপুত প্রভৃতি বিদেশীয় জাতিকে দলে টেনে বিশেষ অধ্যবসায়ে নিজেদেরকে পরকীয় সংস্রব ও প্রভাব থেকে সম্পূর্ণ রক্ষা করবার জন্যেই আধুনিক হিন্দুধর্মকে ভারতবাসী প্রকাণ্ড একটা বেড়ার মত করেই গড়ে তুলেছিল— এর প্রকৃতিই হচ্ছে নিষেধ এবং প্রত্যাখ্যান । সকল প্রকার মিলনের পক্ষে এমন সুনিপুণ কৌশলে রচিত বাধা জগতে আর কোথাও সৃষ্ট হয় নি । এই বাধা কেবল হিন্দু মুসলমানে তা নয় । তোমার আমার মত মানুষ যারা আচারে স্বাধীনতা রক্ষা করতে চাই, আমরাও পৃথক, বাধাগ্রস্ত । সমস্তা ত এই, কিন্তু সমাধান কোথায় ? মনের পরিবর্তনে, যুগের পরিবর্তনে । যুরোপ সত্যসাধনা ও জ্ঞানের ব্যাপ্তির ভিতর দিয়ে যেমন করে মধ্যযুগের ভিতর দিয়ে আধুনিক যুগে এসে পৌচেছে হিন্দু মুসলমানকেও তেমনি গণ্ডির বাইরে যাত্রা করতে হবে । ধর্মকে কবরের মত তৈরি করে তারই মধ্যে সমগ্র জাতিকে ভূতলোকের মধ্যে সর্বতোভাবে নিহিত করে রাখলে উন্নতির পথে চলবার উপায় নেই, কারে সঙ্গে কারো মেলবার উপায় নেই। আমাদের মানসপ্রকৃতির মধ্যে যে অবরোধ রয়েচে তাকে ঘোচাতে না পারলে আমরা কোনো রকমের স্বাধীনতাই পাব না। শিক্ষার দ্বারা সাধনার দ্বারা মূলের পরিবর্তন ঘটাতে হবে— ডানার চেয়ে খাচা বড় এই ఇbrtూ